পরিকল্পনামন্ত্রীর ছিনতাই হওয়ার আইফোন উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫০ পিএম, ১৯ জুলাই,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৩২ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ছিনতাই হওয়ার ৫০ দিন পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ব্যবহার করা আইফোনটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। অন্য একটি মামলার তদন্তের সূত্র ধরে পরিকল্পনামন্ত্রীর মোবাইলটি উদ্ধারসহ ছিনতাই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির রমনা বিভাগ পুলিশ। তবে এর মধ্যেই মোবাইল ফোনটি হাত বদল হয়েছে চারবার।
পুলিশ বলছে, জীবন নামে এক চোরাই মোবাইল কারবারিকে গ্রেফতার করে রমনা বিভাগ পুলিশ। মূলত তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুরো চক্রটি ধরা পড়ে ও মোবাইলটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
আজ সোমবার (১৯ জুলাই) এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো: সাজ্জাদুর রহমান।
তিনি জানান, জীবন মোবাইলটি পেয়েছে আরিফ নামে একজনের কাছ থেকে। আরিফ মন্ত্রীর মোবাইলটি সফওয়্যার ব্যবহার করে আনলক করে জীবনের কাছে বিক্রি করে। আরিফ ফোনটি নিয়েছিল জাকির নামে একজনের কাছ থেকে। জাকির পেয়েছে সগির আর সুমনের কাছ থেকে। আর সগির আর সুমনই মোবাইলটি ছিনতাই করেছিল।
ডিসি মো: সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘গতকাল রোববার ধারাবাহিক অভিযানের এক পর্যায়ে ধানমন্ডি থানার আরেকটি ছিনতাই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধারসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো: সগির, মো: সুমন মিয়া, মো: জাকির, হামিদ আহম্মেদ সোহাগ ওরফে আরিফ ও মো: জীবন। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, বিভিন্ন মডেলের ১০টি ফোন, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘এক ভুক্তভোগী গত ১২ জুলাই ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ওই দিন বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা দুইজন তার ভ্যানিটি ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায়। ওই মামলার তদন্তকালীন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে সগির ও সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।’
‘তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামিদের গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত থেকে মামলার বাদির মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সগির ও সুমন মিয়ার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। জাকিরই জানায় সে আরিফের কাছে মোবাইলটি বিক্রি করেছিল। আরিফ টেকনোলজিতে এক্সপার্ট। সে সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে লক করা মোবাইল আনলক বা যে কোনো মোবাইল ব্যবহারের উপযোগী করতে পারে। তার কাছ থেকে টার্গেটকৃত ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তার কাছে থাকা ল্যাপটপ যাচাইকালে পরিকল্পনামন্ত্রীর ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনের ছবি দেখতে পাই।’
‘সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরিফ জীবনের ঠিকানা দেয়। জীবনের কাছ থেকে মন্ত্রীর মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।’
ডিসি সাজ্জাদুর আরো বলেন, ‘মন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি আইফোন। আইফোনের লক খোলা খুবই কঠিন। তবে আরিফই মোবাইলটি সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে আনলক করেছিল। আনলক অবস্থাতেই আমরা মোবাইলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই।’