ট্রাকে করে ঢাকায় ঢুকছে কোরবানির পশু, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৩ এএম, ১৫ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৬ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
কোরবানির ঈদ ২১ জুলাই। সে হিসেবে আর মাত্র ৭ দিন বাকি। রাজধানীতে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ২১টি পশুর হাটে ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে কোরবানির পশু। তবে কোরবানির পশুর ট্রাকে যারা আসছেন সেখানে মানা হচ্ছে না কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। এছাড়া কারো মুখে নেই মাস্ক। মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে মাস্ক পরা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত থেকে আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর আমিন বাজার দিয়ে প্রতি ৪০টি গাড়ির মধ্যে দুটি করে কোরবানির পশুর ট্রাক রাজধানীতে প্রবেশ করছে। প্রতিটি ট্রাকেই ১৫ থেকে ২০টি করে পশু রয়েছে। সে ট্রাকে পশুর সঙ্গে নেয়া হচ্ছে খড় এবং পশুগুলোর দেখভালের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষ। ঢাকায় আগত পশুর মধ্যে গরুর সংখ্যাই বেশি।
গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সারাবছর ব্যক্তি পর্যায়ে ও খামারিরা কোরবানির জন্য যে পশু পালন করেন, ব্যবসায়ীরা তা সংগ্রহ করে রাজধানীতে নিয়ে আসেন। আবার অনেক সময়ে কয়েকজন খামারি মিলে একটি ট্রাক ভাড়া করে নিজেরাই পশু আনেন রাজধানীতে। কারণ এর চাহিদা বেশি এবং ভালো দামও পাওয়া যায়। নাটোর থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী আবুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দুই মাস আগে এলাকার বিভিন্ন খামারির কাছ থেকে ১০টি গরু কিনে রেখেছিলাম। সেগুলোই আজ ঢাকার গাবতলী হাটে তুলতে যাচ্ছি। যদিও করোনা, তারপরও আশা করি গরুগুলো বিক্রি করা যাবে। কুষ্টিয়া থেকে ৬ জন মিলে ১৭টি গরু নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। গাবতলী চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে তাদের একজন মো. হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, গরুগুলো নিজেরাই লালন-পালন করেছি। পশুগুলো আফতাবনগর হাটের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছি। এলাকার তুলনায় ঢাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়। আশা করি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো। বগুড়া থেকে গরু নিয়ে আরেক খামারি কাশেম গণমাধ্যমকে বলেন, ৫টা গরু নিয়ে এসেছি। এগুলো রাজধানীর দনিয়া কলেজের মাঠে নিয়ে যাবো। আশা করি সেখানে গিয়ে ভালো দাম পাওয়া যাবে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি হচ্ছে ঈদুল আজহা। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘ত্যাগ’। এদিন মুসলমানেরা ফজরের নামাজের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে স্ব স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উটের মতো পশু আল্লাহর নামে কোরবানি করেন।