আগামী বর্ষার আগেই দখলমুক্ত হবে ডিএসসিসির সব খাল-মেয়র তাপস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৭ এএম, ২ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ১২:৫৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকার খালগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ মঙ্গলবার (১লা ডিসেম্বর) দুপুরে শ্যামপুরের বড়ইতলী এলাকায় শ্যামপুর খালের চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি নিজ অর্থায়নে প্রাথমিক এ কার্যক্রম বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দেন।
নগরীর জলাবদ্ধতা নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম হাতে নিচ্ছি। স্বল্পমেয়াদের কার্যক্রমগুলো আমরা নিজ অর্থায়নেই শুরু করে দিচ্ছি। মূলত প্রথম কাজটি হলো, যেগুলো দখল করা আছে সেগুলো দখলমুক্ত করা। ক্যাডেস্ট্রাল সার্ভে (সিএস খতিয়ান) দেখে আমরা সীমানা নির্ধারণ করব, খালগুলো দখলমুক্ত করব এবং খালের মধ্যে যেসব বর্জ্য রয়েছে তা অপসারণ করব। এর মাধ্যমে আমরা জলপ্রবাহ পুনরুদ্ধার করব। এতে করে ঢাকার যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকে সেসব জায়গায় আর জলাবদ্ধতা হবে না বলে আমরা আশাবাদী। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে আগামী দুবছরের মধ্যে ঢাকাবাসীকে আমরা জলাবদ্ধতা থেকে অনেকাংশেই মুক্ত করতে পারব।’
এ সময় বক্স কালভার্ট নিয়ে করা আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বক্স কালভার্টগুলো বিশেষ করে পান্থপথ ও ধোলাইখালের বক্স কালভার্টগুলো দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। আমরা অচিরেই সেগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করব এবং পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় কী করা যায়, বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সে কার্যক্রম হাতে নেব।’
খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায় ওয়াসার জনবল ডিএসসিসির কাছে হস্তান্তর প্রসঙ্গে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বৈঠকে আলোচনা করেছি। যতটুকু জনবল এবং যন্ত্রপাতি আমাদের প্রয়োজন হবে, সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করেই আমরা নেব। আমরা গৎবাঁধা সকল জনবল নেব না, আমাদের যেটা প্রয়োজন নাই সেটা নেব না।’
মঙ্গলবার সকালে তিনি জিরানি খালের ত্রিমোহনী এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় সিএস খতিয়ান অনুযায়ী খাল দখল করে নির্মাণ করা বাড়ি-ঘরগুলোর যে অংশ খালের মধ্যে পড়েছে, দ্রুত সেগুলোর সীমানা নির্ধারণ করে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। পরে ডিএসসিসি মেয়র শ্যামপুর খালের আরেক প্রান্ত, মতিঝিলের সিটি টাওয়ার, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের রাস্তা ও ফুটপাত এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সম্মুখস্থল ও ওসমান গনি রোড পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।