তথ্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞা স্বাস্থ্য খাতের ব্যর্থতা ও অনিয়ম আড়ালের অপচেষ্টা- বিএফইউজে-ডিইউজে’র নিন্দা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ৯ জুলাই,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১০:১৪ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্মকান্ড এবং রোগ ও রোগীদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞায় গভীর উদ্বেগ এবং নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন; ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ৮ জুলাই ২০২১ খ্রি. তারিখ ঢাকার সিভিল সার্জন ডাঃ আবু হোসেন মোঃ মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় ঢাকা জেলাধীন সরকারী হাসপাতালসমূহে রোগীর সেবা সম্পর্কীয় ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকান্ডের উপর ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কোন প্রকার তথ্য আদান-প্রদান ও মন্তব্য না দিতে বলা হয়েছে।
সিভিল সার্জনের এহেন নির্দেশনায় গণমাধ্যমকর্মীরা ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত। এ ধরনের নির্দেশনা অবাধ তথ্য প্রবাহের পথে কেবল অন্তরায় নয়, এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ এবং স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ রূপ নিয়ে সারাদেশে জনমনে এক আতংক অবস্থা বিরাজ করছে। একই সঙ্গে চিকিৎসা সেবা পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও সমভাবে বেড়ে চলেছে। এ পরিস্থিতিতে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই হাসপাতালগুলোর বিদ্যমান সক্ষমতা এবং স্বাস্থ্যসেবার নানা বিষয় তুলে ধরে সংকট মোকাবেলায় সরকারের নীতিনির্ধারকদের পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করছে।
অন্যদিকে সাধারণ জনগণকে সচেতন ও সাবধান করে তুলতে ভূমিকা রাখছে। পক্ষান্তরে মহামারীর শুরু থেকে স্বাস্থ্যখাতের একের পর এক অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির চিত্র প্রকাশ পেতে থাকে। যার জের ধরে মহান জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্যরা ক্ষোভ ও উষ্মা প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম, অপকর্ম ও ব্যর্থতা ঢেকে রাখতেই তথ্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ মনে করেন। তারা অবিলম্বে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহরের দাবি জানান।