কঠোর লকডাউনেও রাজধানীতে যানজট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৪ এএম, ৬ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২৫ পিএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাতদিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’-এর গতকাল পঞ্চম দিন। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মাথায় নিয়েই খুলেছে ব্যাংক-বিমা, শেয়ার বাজার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ফলে সকাল থেকেই মানুষের চলাচল বেড়েছে রাজধানীর সড়কে। গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, স্টাফ বাস, মোটরসাইকেল, রিকশা ও ব্যক্তিগত সিএনজিই এখন মানুষের ভরসা।
আজ সোমবার রাজধানীর মিরপুর রোডের শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ধানমন্ডি-২৭, ধানমন্ডি-৩২ ও পান্থপথ সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই এসব সড়কে ছিল অফিসমুখী মানুষের চাপ।
প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, স্টাফ বাসসহ অন্যান্য গাড়ির চাপে প্রায় প্রতিটি ট্রাফিক সিগন্যালেই তৈরি হয় যানজটের। সড়কে মানুষের চলাচল বাড়লেও লকডাউন বাস্তবায়নে চেকপোস্টগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সমন্বিত এসব চেকপোস্টে পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যদেরও দেখা যায়। ধানমন্ডি-৩২ নম্বর এলাকার রাসেল স্কয়ার মোড়ের চেকপোস্টে যৌথ তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। চেকপোস্ট পার হতে ব্যাংক কর্মকর্তা অথবা সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিজের পরিচয় দিতে হচ্ছিল। দেখাতে হচ্ছিল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের বৈধ পরিচয়পত্র। এ সময় অনেককেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বাগ্বিতন্ডায় লিপ্ত হতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার খোলার অজুহাতে অনেকেই অকারণে এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে নানান অজুহাত দিচ্ছেন। এসব নিয়ন্ত্রণে চেকপোস্টগুলোতে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। কলাবাগান এলাকার চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছেন কলাবাগান থানা পুলিশের উপপরিদর্শক সুমিত আহমেদ, তিনি বলেন, সড়কে যারা বের হয়ে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক বৈধ পরিচয় পত্র দেখানোর পরই যেতে দেওয়া হচ্ছে। গত চার দিনের তুলনায় গতকাল সড়ক একটু বেশি চাপ যাচ্ছে। অকারণে সড়কে বের হয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যাও অনেক। ব্যাংক-বিমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন অজুহাত দিয়ে অনেকেই ব্যক্তিগত কাজে বের হয়েছেন বলে জানান ট্রাফিক পুলিশের ধানমন্ডি জোনের উপকমিশনার জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতকাল থেকে ব্যাংক খোলা হওয়ায় সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। গত চারদিন ধরে শুধু হাসপাতাল এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবায় যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের চলাচল ছিল। গতকাল আবার ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়িও যুক্ত হয়েছে। তবে এই ফাঁকে অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত কাজেও বের হচ্ছেন।