কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় নয় : র্যাব ডিজি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৬ এএম, ৩০ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১০ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বর্তমানে দেশে কিশোর অপরাধ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা হত্যাকান্ডের মতো হিংস্র ও নৃশংস অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে। পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতে এখনই কিশোর গ্যাং কালচারের লাগাম টেনে ধরা দরকার। র্যাব কিশোর গ্যাং নামক অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান পরিচালনা করেছে। আমরা প্রত্যশা করি, পরিবার তার সন্তানের প্রতি আরও নজর দেবে। পাশাপাশি সমাজ ও শিক্ষাঙ্গনকে এগিয়ে আসতে হবে। যারা কিশোর গ্যাংয়ের রূপান্তর অর্থাৎ পৃষ্ঠপোষক তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব সদর দফতরে সাম্প্রতিক সময়ের দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ- আল মামুন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কর্মহীন, অসহায় ও দুঃস্থদের খাদ্য সহায়তা দেয়া, সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অসুস্থ রোগীদের জরুরি সেবা দেয়া ও অন্যান্য মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যম র্যাব মানুষের আস্থা ও অফুরন্ত ভালোবাসা অর্জন করেছে। ডিএমটির মতো মাদক বাংলাদেশের গবেষণাগারে তৈরি হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে কিন্তু এসব মাদকের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছি। বিষয়টি আমরা নজরদারিতে রেখেছি। গবেষণা করার জন্য যেন তৈরি না হয়, সে জন্য আমাদের তৎপরতা থাকবে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন মামলাটি আমাদের তদন্তাধীন রয়েছে। যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটি আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ হলে আমরা আদালতে প্রতিবেদন পেশ করব। মামলাটির তদন্ত করতে এত সময় লাগছে, এ ধরনের মামলার ক্ষেত্রে কী র্যাবে সক্ষমতা কম? এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের ডিজি বলেন, র্যাবের সক্ষমতা কম এ কথা আমি বলব না। সব মামলার ক্ষেত্রে যে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ডিটেক্ট করতে পেরেছি, এটা কিন্তু না। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করে যাচ্ছি। এর চেয়ে বেশি সময় ধরেও অনেক মামলা বিভিন্ন সংস্থার কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।