সবাই বলে টিকা দেবে, কবে দেবে বলে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৩ এএম, ১১ জুন,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:২৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা অনেক দেশের কাছে টিকা চেয়েছি। সবাই আমাদের বলে টিকা দেবে, তবে কবে দেবে সেটা বলে না।
আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ফিলিস্তিনকে ওষুধ সামগ্রী উপহার হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিউজ্জামান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমরা নানা দেশের কাছেই টিকা চেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা চেয়েছি। তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের রাডার স্কেলে নেই। যেসব দেশে করোনায় বেশি মারা গেছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্র টিকায় অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তবে আমাদের মারা গেছে মাত্র ১২ হাজার। তাদের চোখে এটা খুবই কম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, টিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশিরাও চেষ্টা করছেন। সেখানে ১৬৫৪ জন বাংলাদেশি টিকার জন্য হোয়াইট হাউজে চিঠি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশে করোনা টিকার যৌথ উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। যেসব কোম্পানির সক্ষমতা আছে, পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে তারা উৎপাদনে যেতে পারে। উৎপাদনে সফল হলে পরবর্তীতে আমরা নিজেরাই টিকা রফতানি করতে পারবো।
আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা অস্ট্রেলিয়ার কাছে টিকা চেয়েছি। তারা বলেছে দেবে। সবাই বলে দেবে। কিন্তু হাতে আসছে না।
করোনার টিকা সর্বজনীন করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে, টিকা যেন সর্বজনীন পণ্য হিসেবে গণ্য হয়। আর সব দেশের লোকের তা বৈষম্যহীনভাবে পাওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোট টিকার ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ আছে ধনী দেশের কাছে। মাত্র শূন্য দশমিক তিন শতাংশ আছে গরিব দেশগুলোর কাছে। এ জন্য টিকা নিয়ে হাহাকার। কেউ টিকা পাচ্ছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি রিপোর্ট আছে, অস্ট্রেলিয়ার মোট লোক সংখ্যা হচ্ছে ২৫ মিলিয়ন। তারা টিকা সংগ্রহ করেছে ৯৩.৮ মিলিয়ন। আমরা তাদের কাছে চেয়েছি। তাদের টিকা দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা বলেছে দেবে। সবাই বলে দেবে, কিন্তু হাতে আসছে না।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘করোনাকালে আমরা অনেক দেশকে সহযোগিতা করেছি। তবে সেটা করেছি সরকার থেকে। আর ফিলিস্তিনকে সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে সহায়তা করছি। ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর দখলদার বাহিনীর হামলাকে আমরা সমর্থন করি না। এ জন্য বারবার অনুরোধের পরও আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিই না। দুই রাষ্ট্রীয় নীতিতে এর সমাধান চাই।’
আব্দুল মোমেন আরও জানান, ফিলিস্তিনকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে ১ হাজার ৪০০ কেজি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এসব ওষুধের মূল্য ৪০ লাখ টাকা।