সরকারি স্থাপনায় মশার লার্ভা পেলে জরিমানা ৪ গুণ : তাপস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৪ এএম, ৯ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১৬ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সরকারি আবাসন ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে চারগুণ বেশি জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ‘জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ আয়োজিত ‘এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন মেয়র শেখ তাপস।
ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস বলেন, আমরা এখন নির্মাণাধীন স্থাপনা, বিশেষ করে সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। আমি আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতকে নির্দেশনা দিয়েছি, সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানা চারগুণ করার।
তিনি আরও বলেন, সমাধান করতে হলে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন নির্মাণাধীন স্থাপনা, আবাসিক কলোনি ইত্যাদিতে আমাদের মশক কর্মীরা যেতে পারে না, আমাদের কাউন্সিলরদেরকে সেখানে যেতে দেয়া হয় না। ফলে সেখানে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম দুর্বল হয়। সেখানে একবার যদি এডিস মশার বংশবিস্তার শুরু হয় তবে তা বৃহৎ আকার ধারণ করে। সেজন্য সরকারি আবাসন-স্থাপনায় আমরা এখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। এ সময় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোকে এডিস মশার অভয়ারণ্য হিসেবে উল্লেখ করেন। বর্তমানে ছাদ বাগানের একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এখন বাসা-বাড়িতে একটি মরা গাছ থাকলেও একটি ফুলের টব থাকে। ফুলের টবে মরা গাছ শোভা পেল নাকি ফুল শোভা পেল সেটা বিষয় না। ফুলের টব থাকতেই হবে! আমি মহিলা কাউন্সিলরদেরকে অনুরোধ করব, আপনারা সেসব বাসা-বাড়ির কর্তা-কর্ত্রীদের সঙ্গে আলাপ করে ফুলের টবে যেন পানি না জমে, সে বিষয়ে ভূমিকা রাখবেন। সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে এডিস মশার বংশবিস্তারের নানাবিধ অনুষঙ্গ এবং তা নিয়ন্ত্রণে করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বিত নানাবিধ কার্যক্রম নিয়ে একটি উপস্থাপনা করা হয়। ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।