বৃষ্টিতে রাজধানীজুড়ে জলাবদ্ধতা-যানজট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৪ এএম, ২ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩৬ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রাজধানীতে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত টানা মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এরপর শুরু হয় হালকা বৃষ্টি। এটা চলে প্রায় সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। এতে বিভিন্ন এলাকার রাস্তা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। অনেক স্থানে ইঞ্জিনে পানি প্রবেশ করে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। আর এতে ভয়াবহ যানজট তৈরি হয় রাজধানীজুড়ে। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিবহন, গণপরিবহন, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরযানের দীর্ঘ সারি পড়ে যায়। জলজট ও যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী ও পথচারীরারা। কোনো কোনো রাস্তায় একশ গজ পার হতে সময় লেগে যায় দেড় ঘণ্টা। বসুন্ধরা এলাকায় একটি আইটি কোম্পানিতে কর্মরত ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, বেইলি রোড থেকে সকাল সাড়ে নয়টার একটু আগে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। সাড়ে ১১টার সময়ও বাড্ডা লিংক রোড পার হতে পারিনি। এদিকে রাস্তাতেও দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছিল না। রাস্তায় ময়লা পানি। একই কথা বলেন সৌমিক নামের এক যুবক। তিনি যাবেন গুলশানে। তারা অফিস শুরু ১০টায়। অথচ ১১টার সময় তিনি গাড়ি নিয়ে রামপুরা ব্রিজের ওপর অবস্থান করছিলেন। এ সময় সৌমিক বলেন, যানজটের একটি ছবি মোবাইল ফোনে তুলে অফিসের বসকে পাঠিয়েছি। প্রাইভেট চাকরি। ইতিমধ্যে এক ঘণ্টা চলে গেছে। আরও এক ঘণ্টা লেগে যেতে পারে। তাই বসকে আপাতত জানানো হয়েছে। জানি না অফিসে কখন পৌঁছাতে পারবো। অনেক অফিসগামী যাত্রী গাড়ি ভাড়া করে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলেও, পরে সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে ভাড়া গাড়ি রেখে ময়লা পানি মাড়িয়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। তাদেরই একজন আফিফা। তিনি কাজ করেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে।
আফিফা বলেন, ব্যাংকের কাজ শুরু হয়েছে। গ্রাহক আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে না। তাই গাড়ি ভাড়া করে এলেও গ্রাহকসেবা দিতেই হেঁটে রওনা দিয়েছি। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ছয়টার আগের ২৪ ঘণ্টার ঢাকায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সকাল সাতটা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়ে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। বৃষ্টি বা বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে, যা ৩০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া আকারেও বয়ে যেতে পারে। ঢাকার বাতসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ।