দৈনিক দিনকালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আবদুল আউয়াল মিন্টু
বাইডেন-প্রশাসন থেকে উপকৃত হতে দরকার দক্ষ কূটনেতিক তৎপরতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৮ এএম, ১৫ নভেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:৫৪ পিএম, ২৮ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের সাড়া জাগানো নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়ী হওয়ার ঘটনায় সারা দুনিয়ায় এখন শান্তির হাওয়া বইছে। বাংলাদেশের মানুষও বাইডেনের বিজয়ে খুশি। বাইডেনের আমলে বাংলাদেশও উপকৃত হতে পারে। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল আউয়াল মিন্টু এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে একথা বলেন।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভাল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিনী ভূমিকা ছিল বিরূপ।
স্বাধীনতা-উত্তরকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি (বটমলেস বাস্কেট) বলে মন্তব্য করেছিলেন, যা এখনো বলাবলি হয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে পরবর্তীকালে মার্কিন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রভূত উন্নতি হয়। বিশেষ করে আমেরিকায় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ তৈরি পোশাক, ওষুধ ইত্যাদি রফতানির সুযোগ পায়। বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি সেখানে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।
দৈনিক দিনকালকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে দেশের প্রথম সারির শিল্পগোষ্ঠী মাল্টিমোড গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সিইও আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, এবারের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে সর্বোচ্চ কনটেস্ট হয়েছে। দৃশ্যত নির্বাচনের আগে আগে ট্রাম্প তার প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছিলেন ভারতে। অর্থাৎ ট্রাম্প ভারতকে গুরুত্ব দিতেন বেশি। অর্থাৎ চীন ও ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে মার্কিন পলিসি ছিল ভারতের পক্ষে। তবে নির্বাচন-উত্তরকালে বাংলাদেশ বাইডেন প্রশাসন থেকে উপকৃত হতে চাইলে দরকার আরও দক্ষ কূটনৈতিক তৎপরতা।
একজন শিল্পপতি-লেখক হিসেবে পরিচিত আবদুল আউয়াল মিন্টু শিল্প ও কৃষিসহ বিভিন্ন বিষয়েও লেখালেখি করে থাকেন। বেশ কয়েকটি প্রামাণ্য গ্রন্থও রয়েছে তার। উল্লেখ্য, আবদুল আউয়াল মিন্টু অত্যন্ত সদালাপী। তিনি বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান। তার সুযোগ্যপুত্র তাবিথ আউয়াল গত ডিএনসিসি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু দিনকালকে বলেন, বাইডেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা বারাক ওবামার রানিং মেট ছিলেন। একই দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন-হিলারী দম্পতিও এবারের নির্বাচনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। উল্লেখ্য, হিলারী-ক্লিনটন দম্পতির একজন ঘনিষ্ঠজন হলেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ সম্পর্কে বাইডেন প্রশাসন ভালো জানবেন।
এবারের মার্কিন নির্বাচন সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, দুজনই শক্তিমত্তা দেখিয়েছেন। তবে বাইডেন সুদক্ষ রাজনীতিবিদ। অপরদিকে ট্রাম্প এতটা পলিটিক্যাল নন। বিশ্ব পর্যায়ে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কিছু সংস্থার জন্য অনুদান দানে সোচ্চার ছিলেন না। তিনি ক্লাইমেট চেঞ্জের ব্যাপারেও অনুদান দিতে নেতিবাচক ছিলেন। আশা করি বাইডেন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। আমেরিকায় আবার ওবামা কেয়ার বহাল হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।