সায়েম সোবহানের গভীর প্রেম : পাঁচ মহিলাসহ ৯ জনের ওপর নজরদারি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:১৭ এএম, ১ মে,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:১৭ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
গুলশানের আলিশান ফ্ল্যাটে কলেজছাত্রী ও মডেল-কন্যা মৃত্যুর রহস্য নিয়ে কঠোর নজরদারি চলছে। ওই নজরদারি রেখেই তদন্তে এগুচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্তত ৩টি দল ওই তদন্ত কাজে বিভিন্ন মহল ও জায়গায় যাওয়া-আসা করছে। যারা নজরদারিতে আছেন তাদের চলাফেরা, বিভিন্ন লোকের সাথে মেলামেশা ও গতিবিধি ক্লোজ মনিটরিং করা হচ্ছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ওই নজরদারিতে আছেন ৫ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুষ। মামলার এজাহারের সূত্র ধরেই এসব লোকের ওপর চলছে নজরদারি। এর মধ্যে মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভির, আফরোজা বেগম, সাফিয়া, সাবরিনা সোবহান, একজন মডেল-কন্যাসহ ৯ জন। এদের সব ধরনের গতিবিধির ওপর গোয়েন্দাদের নজরদারি রয়েছে। জানা গেছে, এদের মধ্যে অন্তত ৩ জন ৪/৫ নম্বর পরিবর্তন করে কথাবার্তা বলছেন।
সূত্র জানায়, গত ৩ দিনে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের টিম বনানীর সেই ফ্ল্যাটের সন্ধানে নেমেছে। তারা হিসাব মেলাতে চাইছেন কি পরিচয়ে কারা ও কাদের মাধ্যমে ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন আনভির-মুনিয়া। এসবই আসছে তদন্তে। ইতিমধ্যে পুলিশ ওই বাসার ঠিকানা ও সংশ্লিষ্টদের সন্ধান পেয়েছেন। পুলিশ বারবারই বলছে, তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলছে না। এছাড়া মুনিয়ার ডায়েরি ও তার লেখা, দুটি মোবাইল ফোন থেকেও বেশকিছু তথ্য পেয়েছে। ওই দুটি মোবাইল ফোনও কিনে দিয়েছিলেন আনভির। এমন তথ্যও এখন পুলিশের টেবিলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, মুনিয়ার বোন অনেক কথাই তার এজাহারে বলেছেন। সেখানে কে কে মুনিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল, কারা ওই অনুষ্ঠানের ছবি ভাইরাল করেছিল, কোন মডেল কন্যা এ খবর আনভিরের মায়ের কাছে পৌঁছে দেয় এমনকি কোন গাড়িতে আনভির ওই বাসাতে আসা-যাওয়া করতেন সবই এখন পুলিশের কাছে অনেকটাই স্পষ্ট। কেবলমাত্র সময়ের ব্যাপার বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, সাধারণত আনভির যখন রাস্তায় বের হতেন তখন সামনে-পিছনে থাকতো নিরাপত্তা টিম। অন্তত ২-৩টি গাড়ি। কিন্তু তিনি যখন মুনিয়ার ফ্ল্যাটে আসতেন তখন তিনি একাই আসতেন। নিজে ড্রাইভ করতেন বেশিরভাগ। মাঝে মধ্যে নতুন ড্রাইভার নিয়ে আসতেন। পুরনো কোনো ড্রাইভারকে তিনি আনতেন না। কোনো ড্রাইভারকে কিছু জানাতেন না। তবে ড্রাইভারদের বলতেন রেডি থাক। আমি বাইরে যেতে পারি। আর গোপনে তিনি বেরিয়ে যেতেন।
এদিকে মুনিয়ার মৃত্যুর পরবর্তী মামলা দায়েরের পরে সেই ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে জব্দকৃত সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করছেন তদন্তকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তদন্তের কাজে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, তরুণীটিকে মৃত অবস্থায় যেদিন উদ্ধার করা হয় সেদিনও আনভির তার নিজস্ব রোলস রয়েস গাড়িতে করে মুনিয়ার বাসায় গিয়েছিলেন।
কে ওই গাড়ির মালিক?
সিসিটিভিতে আনভিরের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাছাড়া মুনিয়ার সাথে সর্বশেষ সাক্ষাতের পর নিজের গাড়িতে উঠে আনভির একটি সেলফি তুলেছিলেন। তাছাড়া আনভির মুনিয়াকে লাল শাড়িতে সাজিয়ে হাতে ধরেছিলেন। তার সেই কোটি টাকা মূল্যের ঘড়ি তার প্রমাণ বহন করে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ওই তরুণীর ডান ও বাঁ হাতে মেহেদি ও রঙ দিয়ে আনভির লেখা রয়েছে। এতে বুঝা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে আনভিরের ছিল গভীর প্রেমের সম্পর্ক।
অভিমান ও ক্ষোভে ঠাসা মুনিয়ার ৬ ডায়েরি :
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, ছয়টি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা এগুলো যাচাই-বাছাই করছি। এখানে অনেক কিছু লেখা রয়েছে। মামলার তদন্তে এগুলো কাজে লাগবে। অন্যদিকে তার বোন নুসরাতও জানিয়েছেন তীব্র অভিমান আর ক্ষোভে ঠাসা মোসারাত জাহান মুনিয়ার ছয় ডায়েরি। পাতায় পাতায় লিখে রেখেছেন জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাবলী। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ মুনিয়ার বাসা থেকে ওই ছয়টি ডায়েরি উদ্ধার করেছিল। মুনিয়া তার ডায়েরিতে লিখেছেন, সায়েম সোবহানের সঙ্গে কিভাবে পরিচয়, পরিচয় থেকে প্রণয়, প্রেম, ঘুরাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, হরেক রকমের পোশাক, গহনা, কসমেটিকস, জুতা কেনাকাটা, বিদেশে সেটেল করার নানান গল্পও স্থান পেয়েছে সেখানে।
সর্বশেষে করুণ পরিণতির কারণও লিখে গেছেন। লিখে গেছেন টাকার চুরির অভিযোগ নিয়েও। বিয়ের জন্য চাপ দেয়া ও ক’টি ছবি ফেসবুকে আপলোড করার পর তাকে টাকা চুরির অভিযোগ দেয়া হয়। বলা হয় ৫০ লাখ টাকা চুরি করেছে মুনিয়া। কিন্তু কোথা থেকে টাকা নিয়েছে, কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এসব কিছুই লেখা নেই সেই ডায়েরিতে। লিখেছেন কেন ফ্ল্যাট মালিকের স্ত্রী শারমিনদের বাসায় গেল। সেই বাসার ইফতার পার্টির ছবি কেন ফেসবুকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিল তার সংসারে। এসব কথা নিয়েও বিভিন্ন আক্ষেপ করেছেন। ক্ষোভের কথা লিখে গেছেন।
পিয়াশা নামের একজন মডেলের নামও লিখেছেন মুনিয়া। তিনি কি কারণে তার পেছনে লাগলেন, কি কারণে আনভিরের শত্রুর সঙ্গে হাত মেলালেন এই অপমান ও ক্ষোভের কথা লিখতে গিয়ে মুনিয়ার লেখনীতে কান্নার চিত্র ফুটে উঠেছে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব কথা মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহানও বলেছেন বিভিন্ন আলাপনে। পুলিশ সবই আমলে নিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন গুলশান জোনের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ডায়েরির একটি পাতায় সায়েম সোবহানকে উদ্দেশ করে লেখা রয়েছে, ‘আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় হয়েছে। আগামীকাল ভোরে এসে তুমি আমাকে আর পাবে না।’ পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আত্মহত্যার আগে কোনো একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কারণে মেয়েটি এসব কথা লিখেছেন বলে তারা ধারণা করছেন।
মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান
তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৯ সায়েম সোবহানের সঙ্গে মুনিয়ার পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বাসা নেয় বনানীতে। ওই বাসায় তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকতেন। পুলিশ সেই বাসার সন্ধানও পেয়েছে। পুলিশ বলছে, তারা সবগুলো বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, কল রেকর্ড বিশ্লেষণ, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ সবকিছু করা হচ্ছে।
মামলার অভিযোগে বড় বোন নুসরাত বলেন, ‘গত শুক্রবার আমার বোন ফোন করে জানায়, আসামি আনভির তাকে বকা দেয় যে, কেন ফ্ল্যাট মালিকের বাসায় গিয়ে ইফতার করে এবং ছবি তোলে। কারণ জানতে চাইলে আনভির বলে ফ্ল্যাট মালিকের স্ত্রী ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেছে। এটা পিয়াসা দেখেছে। পিয়াসা মালিকের স্ত্রীর ফেসবুক ফ্রেন্ড এবং পরিচিত ছিলেন। পিয়াসা আনভিরের মাকে সব জানিয়ে দিবে। এ সময় আনভির মোসারাতকে বলে তোমার আর এখানে থাকার দরকার নাই। তুমি কুমিল্লায় চলে যাও। আমি দুবাই চলে যাচ্ছি। কারণ আম্মা জানতে পারলে তোমাকে মেরে ফেলবে।’
বড় বোন নুসরাত মামলায় উল্লেখ করেন, ২৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে মুনিয়া তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে কান্নাকাটি করে বলে আমাকে আনভির বিয়ে করবে না। আনভির মুনিয়াকে জাস্ট ভোগ করেছে এবং বলেছে তুই আমার শত্রুর সঙ্গে মিলিত হইছিস। মনে রাখিস তোকে আমি ছাড়বো না। আমাকে চিৎকার করে কান্না করতে করতে বলে যে কোনো সময় আমার বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তোমরা তাড়াতাড়ি ঢাকায় আসো। এরপরই তারা ঢাকায় এসে তারা মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করেন বলে জানান নুসরাত।
কে ওই আনভির :
তার পুরো নাম সায়েম সোবহান। ডাকনাম আনভির। তিনি ১৯৮১ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতার নাম আফরোজা বেগম। বাবা আহমেদ আকবর সোবহান। তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। আনভির ওই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তিনি কেমব্রিজশায়ারের এলির কিংস স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তারপর তিনি লন্ডনের আমেরিকান আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। যেখান থেকে তিনি ২০০১ সালে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক বিবিএ লাভ করেন।
কোথায় আনভির :
ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভিরের অবস্থান নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, আনভির গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতেই দেশত্যাগ করেছেন। তবে ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনভির দেশেই আছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, তাদের সিস্টেমে চেক করে দেখা গেছে সায়েম সোবহান আনভির দেশেই আছেন।
এদিকে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, সায়েম সোবহান দেশের বাইরে চলে গেছেন কি না এ ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশনে খোঁজ নেয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তিনি দেশের বাইরে যাননি। অন্যদিকে গুলশানে ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভিরের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মুনিয়ার ফ্ল্যাটে আনভিরের যাতায়াতের প্রমাণ তারা পেয়েছেন। মামলার পর মঙ্গলবারই পুলিশ আনভিরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করে। তাতে ঢাকার আদালত সাড়াও দেন। এই ঘটনায় আনভিরের কোনো বক্তব্য কোনো গণমাধ্যমই পায়নি। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সচিব মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ফ্যাক্টরিতে আছি। এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।’ অন্যদের জিজ্ঞাসা করেন।
ভাইয়ের অভিযোগ :
মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান সবুজ বলেন, আমার বোন মুনিয়া সুইসাইড করার মতো মেয়ে না। আমরা মনে করছি এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চাই, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন, পরিকল্পিত এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
জানা যায়, নগরীর মনোহরপুরের উজিরদীঘির দক্ষিণপাড় এলাকার বাসিন্দা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সফিকুর রহমানের মেয়ে মোসারাত জাহান মুনিয়া রাজধানীর মিরপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। এবার এ প্রতিষ্ঠান থেকে তার এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল।
এর আগে সে কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা এলাকার ওয়াইডব্লিউসিএ নামক একটি স্কুল থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে। পরে সে নগরীর নজরুল এভিনিউ এলাকার মডার্ন হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে এবং সর্বশেষ রাজধানীর মিরপুর মনিপুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করে। পরিবারে এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সে সবার কনিষ্ঠ।
প্রসঙ্গত, গুলশান দুই নম্বর এভিনিউয়ের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর প্লটের বি/৩ ফ্ল্যাটে একা থাকতেন কলেজছাত্রী মুনিয়া। চলতি বছরের মার্চ মাসে এক লাখ টাকা মাসিক ভাড়ায় তিনি ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।