২৯ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি রফতানি করতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় প্যাকেজিং পণ্য আমদানি ৯২ হাজার মেট্রিক টন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:০৩ এএম, ১২ এপ্রিল,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪৭ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
এক অর্থ বছরে মোট চিংড়ি রফতানি পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার ৫৫১ মেট্রিক টন। এই চিংড়ি রফতানির জন্য শুধু খুলনার ৮টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্যাকেজিং উপকরণ শুল্কমুক্ত আওতায় আমদানি করেছে ৯২ হাজার ৪৪৫ মেট্রিক টন। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে এই ঘটনা সত্য। শুল্ক বিভাগ এই শুল্ক ফাঁকির ঘটনা উন্মোচন করে প্রায় ছয় শত কোটি টাকা দাবিনামা জারি করেছে। অর্থদন্ড করেছে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু তারপরও বন্ধ হয়নি বরং বন্ড হাউসের নামে শুল্কমুক্ত পণ্য এনে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য প্রভাবশালী শিল্প গ্রুপ বেপরোয়া হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স বাতিল করে ৪০ কোটি টাকার অর্থদন্ড করেছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ ।
চিংড়ি রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে বিধায় বিশেষ প্রণোদনাসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা এই শিল্পকে দেয়া হয়। চিংড়ি মাছ রফতানি করতে নানা ধরনের প্যাকেজিং উপকরণ প্রয়োজন এবং এই উপকরণগুলি বিদেশ থেকে শুল্কমুক্তভাবে আনার জন্য বিভিন্ন প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিসকে বন্ড হাউসের সুবিধা দেয়া হয়। বন্ড হাউজ বিনা শুল্কতে পণ্য আমদানি করতে পারে, তবে অবশ্যই সেই পণ্য পুনরায় রফতানি করতে হয় রফতানি পণ্যের প্যাকেজিং হিসাবে।
খুলনার বৃহৎ লকপুর শিল্প গ্রুপ এই সুযোগ নিতে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে একাধিক প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিস রয়েছে মোংলা ইপিজেডসহ খুলনা-বাগেহাট এলাকায়। গত ৫/৬ বছর ধরে তাদের একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ। মোংলা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষে গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেই ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ১০৪ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির জন্য দাবিনামা পেশ করে প্রতিষ্ঠানকে পৃথকভাবে ৪০ কোটি টাকা অর্থদন্ড করে বন্ড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এই অদেশে উল্লেখ করেছে, এসব প্রতিষ্ঠান আইনকানুন মেনে না চলা ও বেপরোয়া আচরণ সরকারি রাজস্ব আদায়ের জন্য হুকমিস্বরূপ।
মোংলা কাস্টম হাউস শুল্ক কমিশনার হোসেন আহমেদ উল্লিখিত ঘটনা স্বীকার করে জানান, তিনি এখানে ২০২০ সালে যোগদান করার পর লক্ষ্য করছিলেন যে বিপুল পরিমাণ বন্ড হাউসের নামে প্যাকেজিং উপকরণসহ নানাবিধ পণ্য আনছিল খুলনা বিখ্যাত শিল্পপতি গ্রুপ। খাতাপত্র পরীক্ষা করতেই তিনি লক্ষ্য করেন প্রাপ্যতা আর চাহিদার মধ্যে ব্যাপক ব্যবধান। প্রাথমিক তদন্ত করতে গত বছর সেপ্টেম্বর কয়েক প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র পরীক্ষা করে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পান। এই সময় এসব প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণ প্যাকেজিং পণ্য চালান দেশে আসে। তিনি শুল্ক মুক্তর আওতায় পণ্য খালাসের স্থগিত করেন এবং যাচাই বাছাই করার তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে এই পণ্যগুলি শুল্কমুক্ত আওতায় ছাড় করতে প্রভাবশালী মহল তদবিরও করে। কিন্তু শুল্ক কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় আমদানিকৃত বন্ড হাউসের পণ্য প্রায় বন্ড হাউসের সুবিধা না নিয়ে ৪২ কোটি টাকা শুল্ক পরিশোধ করে ছাড় করে নেয়। ফলে ইতিপূর্বের বিপুল পরিমাণ পণ্য বন্ড হাউসের নামে আমদানি করে খোলা বাজারে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়। এই ঘটনায় খুলনা বিখ্যাত একটি শিল্প গ্রুপ উচ্চ আদালতে রীট করে লাইসেন্স এবং শুল্ক ফাঁকির দাবিনামা স্থগিত করায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সুপ্রিম কোর্টে আপীল করলে আপীল বিভাগ শুল্ক বিভাগের পক্ষে রায় দেন। এই রায়ের পর বিভিন্ন তদন্ত কমিটি করে ৮টি বন্ড হাউসের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে এবং শুল্ক ফাঁকির জন্য প্রায় একশত চার কোটি টাকা দাবিনামা জারি এবং প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে ।
এই প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে শরীফা প্রিন্টার্স ছাড়া অন্য সবগুলি প্রতিষ্ঠানই লকপুর গ্রুপ বা সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের লকপুর গ্রুপের শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলি খুলনা, বাগেরহাটের লকপুর এবং মোংলা ইপিজেডে অবস্থিত।
মোংলা কাস্টম কমিশনার হোসেন আহেমেদ আরো জানান, এসব তদন্তকালে মোংলা ইপিজেড প্রতিষ্ঠান হতে জানানো হয় বন্ডেড ওয়ার হাউসের আমদানি করা পণ্য চটট্টগ্রাম বন্দর হতে সড়ক পথে ট্রাক যোগে ইপিজেডে এসেছে। কাস্টম কর্তৃপক্ষ সরে জমিনে গিয়ে সে সব ট্রাক ইপিজেডের সামনে পায়নি। তদন্ত করে দেখা গেছে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর ঢাকার বাজারের সে সব পণ্য বিক্রি করে দেয়া হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে ইতোমধ্যে পাঁচ শুল্ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
শুল্ক বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রে এবং পণ্য জন্য ব্যাংকের এলসির কাগজপত্র হতে দেখা যায়, মুনস্টার পলিমার এক্সপোর্ট লি: এর ফ্যাক্টরী ২৬, ২৭, ২৮, ৩৬ এবং ৪২ নং প্লট, মোংলা ইপজেড এবং অফিস নওয়াপড়া, ফকিরহাট বাগেরহাটের বন্ড হাউস লাইসেন্সের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসাবে নাম রয়েছে তালুকদার আব্দুল খালেক। (যিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশন মেয়র) পিতা: মরহুম আইয়ুব আলী তালুকদার ৩৩ মুন্সী পাড়া ৩য় গলি খুলনা ৯১০০।
এই প্রতিষ্ঠানকে গত ২৮ জানুয়ারি মোংলা কাস্টম কমিশনার হোসেন আহমেদ স্বাক্ষরিত এই আদেশে বলা হয়েছে, “মোংলা শুল্ক ভবনে রক্ষিত তাদের বন্ড রেজিস্টারে লিপিবদ্ধকৃত ইন টু বন্ডকৃত আমদানি চালানের তথ্যাদি যথাযথভাবে যাচাই ব্যতিরেকে ২৮টি বিল অব এন্টির মাধ্যমে আমদানিকৃত কাঁচমাল /উপকরণ ইত্যাতি বন্ড রেজিস্টারে যথাযথভাবে এন্টি করা নাই।
কাঁচামাল হলো বিওপিপি ৩২১ মেট্রেক টন, পিপি/এলডিপিই ৬৬৫ মেট্রিক টন আর্টকার্ড ৫৯৬ মেট্রিক টন, গাম ৪৫৪ মেট্রিক টন, থিনার ১০৫ মেট্রিক টন, ডুপ্লেক্স বোর্ড ৬৯৯ মেট্রিক টন। এই দাবিনামার আদেশে বলা হয়, সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায় যে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লিখিত ২৫৬৫.৬৭ মেট্রিক টন পণ্য ইনবন্ড করার বিষয় কোন তথ্য প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি। এমনকি পণ্য অবস্থান কোথাও তাও প্রকাশ করেননি। এমতাবস্থায় মেসার্স মুনস্টার পলিমার এক্সপোর্ট লি: আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। ফলে দ্যা কাস্টমস এ্যাক্ট ১৯৫৯ এর সেকশন ১১১ অনুসারে অবৈধভাবে অপসারিত কাঁচামালে উপর প্রযোজ্য শুল্ক করাদি বাবদ পাঁচ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা পরিশোধের আদেশ দেয়া হলো। এছাড়া একই আইনের সেকশন ১৫৬ (১) এর cause 1,14,51a & 90 মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের উপর দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদন্ড আরোপ করা হলো।“ এই আদেশে আরো বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের আইন কানুন মেনে না চলা ও বেপরোয়া আচারণ সরকারি রাজস্ব আদায়ের জন্য হুমকিস্বরূপ। এমতাবস্থায় দ্যা কাস্টমস এ্যাক্ট ১৯৬৯ এর সেকশন ১৩ (3)(a)(b) অনুযায়ী রাজস্ব নিরাপত্তা তথা জনস্বার্থে বন্ড লাইসেন্স বাতিল করা হলো।
খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সাথে মুনস্টার পলিমার এক্সপোর্ট লি: ম্যনেজিং পাটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি স্বভাব সুলভভাবে বলেন, তিনি কোন মুনস্টার ফুনস্টারের সাথে জড়িত নন। তিনি একসময় জড়িত ছিলেন, যখন এস এম আমজাদ সাহেব বিদেশে ছিলেন এবং তখন প্রতিষ্ঠানের কোন কাজ কর্ম ছিল না। বন্ড লাইসেন্স এ তার স্বাক্ষর রয়েছে দেখিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি স্বাক্ষরটিও তার নয় বলে দাবি করেন। তিনি পরামর্শ দেন এ ব্যাপারে সরাসরি আমজাদ সাহেবের সাথে কথা বলা জন্য। তিনি বলেন লকপুর গ্রুপ আমজাদ সাহেব খুলনায় জুট মিলসহ শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করলে সেখানে খুলনার লোকের চাকরি হয় সেটি তিনি সমর্থন করেন।
গত ১৯ মার্চ খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং খুলনা চেম্বার আয়োজিত খুলনা-বরিশাল বিভাগের প্রাক বাজেট আলোচনা এই বন্ড হাউসের শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিল। সেখানে বলা হয়েছে যে পরিমাণ চিংড়ি রফতানি হয় তার চেয়ে তিনগুন বেশি প্যাকেজিং উপকর শুল্ক মুক্ত আওতায় আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশ ফ্রোজোন ফুড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন নবনির্বাচিত পরিচালক ও বাগেরহাট নওয়াপাড়া স্থাপিত আলফা এ্যাক্সেসরিজ এন্ড এক্সপোর্ট লি: কারখানায় কয়েক দফায় গিয়ে ম্যানেজিং ডাইরেক্ট মো: আরজান আলীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। তিনি লকপুর গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
শুল্ক ফাঁকির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে পাঁচ শুল্ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কমিশনার হোসেন আহমেদ। মোংলা বন্দরকে গতিশীল করতে মোংলায় ইপিজেড প্রতিষ্ঠা করা হলেও এই শুল্ক ফাঁকির জন্য এসব প্রতিষ্ঠান পণ্য আমদানি করে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।
প্যাকেজিং ব্যবসায়ার সাথে জড়িত এক প্রবীণ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে বলেন, যিনি চিংড়ি রফতানিকারক, তারই মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাকেজিং উপকরণ আমদানিকারক এবং ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যাংকও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাও তারা। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। তিনি বলেন বন্ড হাউসের নামে আমদানি করা পণ্য অবশ্যই রপ্তানী করতে হবে। শুল্ক মুক্ত পণ্য এলসি নিয়মে বিক্রি করতে হবে এবং পেমেন্ড হতে হবে বৈদেশিক মুদ্রায়। বিষয়টি তদন্ত করলে চিংড়ি রফতানিকারক, প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানসহ ব্যাংকের কর্মকর্তা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে অভিযুক্ত শরীফা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং এবং সাউথ এশিয়ান প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি: এম ডি মাহমুদ হাসান শুল্ক বিভাগের দাবিনামা অর্থদন্ডর কথা স্বীকার করে জানান, তিনি নিজে কোন প্রভাবশালী নয়, বলেন হঠাৎ এ ব্যবসায় এসে যারা রাতারাতি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক তারাই মূলত এই কাজে জড়িত।
চিংড়ি রফতানিকারক এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন পরিচালক তরিকুল ইসলাম জহির বলেন, যে পরিমাণ চিংড়ি রফতানি হয় তার ৩-৫ % প্যাকেজিং উপকরণ প্রয়োজন হয়। তিনি এক অর্থ বছরে উল্লিখিত পরিমাণ প্যাকেজিং আমদানিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে লকপুর গ্রুপ এবং সাউথ বাংলা ব্যাংকের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি শুল্ক কর্তৃপক্ষ দাবিনামা, অর্থদন্ড কথা স্বীকার করে বলেন, অসুস্থ হয়ে খুলনার বাসভবনে চিকিৎসাধীন। তিনি এই মুহূর্তে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, সময় হলে তিনি সব জানাবেন।
এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক পরিষদ আহবায়ক অ্যাড. কুদরাতে খোদা ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এই প্রক্রিয়াই দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং হয়ে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত এসব শুল্ক ফাঁকি লাগাম এখনই টেনে রাখা দরকার।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তত্ত্বাবধানে তৎকালীন শুল্ক গোয়েন্দা অতিরিক্ত মহাপরিচালক খুলনার ৮ টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে শুল্ক ফাঁকি নিরুপন করে তাদের কাছে দাবি নাম পেশ করে ছিলেন।
২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে এই অভিযান করার পর প্রভাবশালীরা ঊর্ধ্বতন মহলের প্রভাব বিস্তার করে সংশ্লিষ্ট শুল্ক গোয়েন্দার তৎকালীন অতিরক্তি মহাপরিচালক এবং মোংলা কাস্টম কমিশনারকে বদলী করে ওএসডি করে রাখেন। তৎকালীন মোংলা কাস্টম কমিশনার মো: আল আমিন প্রামাণিককে বিদেশে মিশনে বদলী করিয়ে দেন।
তার পরই এই সময় খুলনা প্রিন্টিং প্যাকেজিং লি: এর চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন মোংলা কাস্টম কমিশনার ড. আল আমিন প্রামাণিকসহ তিন শুল্ক কর্মকর্তা বিরুদ্ধে ৭৭০ কোটি মানি সুট মামলা দায়ের করেন। যুগ্ম-জেলা জজ তখন মামলাটি গ্রহণ করে উল্লিখিত শুল্ক কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির হয়ে জবাব দানের নির্দেশ দিয়ে ছিলেন।