দেশে প্রথমবারের মতো সংবাদপাঠে তৃতীয় লিঙ্গের নারী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৪ এএম, ৬ মার্চ,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫২ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
প্রথমবারের মতো সংবাদ পাঠক হিসেবে দেশে তৃতীয় লিঙ্গের তাসনুভা আনান শিশিরকে নিয়োগ দিয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন বৈশাখী। আগামী সোমবার (৮ মার্চ) নারী দিবসে প্রথমবারের মত সংবাদ বুলেটিন উপস্থাপন করবেন তিনি।
বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাসনুভা আনান গণমাধ্যমকে বলেন, "স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন বা চিরাচরিত প্রথা ভাঙতে পারছি এটা আমার জন্য একটা বড় প্রাপ্তি। আমি বিশ্বাস করি, চাইলে যে কেউ নিজের যোগ্যতাবলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারে। বৈশাখী টেলিভিশনের এই উদ্যোগ দেশের অন্যান্য সেক্টরে দারুণভাবে ভাবিত করবে, বৈশাখী টেলিভিশন দেশের মানুষকে চিন্তার জায়গা করে। সবাই ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে ভাববে।
আর আমার অনুভূতির কথা যদি বলেন, এটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।” বেসরকারি এই টেলিভিশন চ্যানেল জনসংযোগ কর্মকর্তা দুলাল খান এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে জানান, বৈশাখী টেলিভিশন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই বছর, স্বাধীনতার মাস মার্চে নারী দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে আমাদের চ্যানেলের সংবাদে এবং নাটকে দুইজন ট্রান্সজেন্ডার নারীকে যুক্ত করেছি।
দেশের মানুষ এই প্রথম কোনো পেশাদার সংবাদ বুলেটিনে খবর পাঠ করতে দেখবেন একজন ট্রান্সজেন্ডার নারীকে, যা স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশে আগে কখনো ঘটেনি। এই ট্রান্সজেন্ডার নারীর নাম তাসনুভা আনান শিশির।
আসছে ৮ মার্চ, সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শিশির বৈশাখী টেলিভিশনে তার প্রথম সংবাদ বুলেটিন উপস্থাপন করবেন। এরমধ্য দিয়ে দেশে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপনে বৈশাখী টেলিভিশনের ঐতিহাসিক উদ্যোগের সহযাত্রী হবেন তিনি।
তিনি আরও জানান, "একইভাবে আমরা আমাদের বিনোদন বিভাগের নিয়মিত নাটকের মূল চরিত্রগুলোর একটিতে যুক্ত করেছি আরেকজন ট্রান্সজেন্ডার নারীকে। যার নাম নুসরাত মৌ। যাকে পর্দায় প্রথম দেখা যাবে একইদিন আন্তর্জাতিক নারী দিবসে।" বৈশাখী টিভি কর্তৃপক্ষ জানায়, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এই অবহেলিত নাগরিকদের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। ভোটার তালিকায় তারা এখন নারী বা পুরুষ হিসেবে নয় সরাসরি হিজড়া পরিচয়েও নিজেদের নাম নিবন্ধন করার অধিকার পেয়েছেন। তৃতীয় লিঙ্গের বিপুল সংখ্যক মানুষ সরকারি ভাতাও দিচ্ছে। আমরা মনে করি, ট্রান্সজেন্ডারদের ধারাবাহিক ও স্থায়ী উন্নয়নের ধারা নিশ্চিত করতে সবার মানসিকতার পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি।