ধান-চালের মজুদ নিয়ে ভুল তথ্য, সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৫৪ এএম, ৯ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩৬ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
ধান-চালের মজুদ নিয়ে মাঠ প্রশাসনের ভুল তথ্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির সদস্যরা বলেন, মাঠ প্রশাসনের তথ্য নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আগে বলা হয়েছিল, ধান-চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কিন্তু তাহলে কেন এখন চালের দাম বাড়ছে। সরকারকে কেন চাল আমদানি করতে হচ্ছে। এর অর্থ আগের তথ্য সঠিক ছিল না। মাঠ থেকে আগে সঠিক তথ্য দিলে সরকার আগাম প্রস্তুতি নিতে পারত। এখন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। কমিটি বিব্রতকর অবস্থা রোধে মাঠ পর্যায় থেকে ভুল তথ্য যেন প্রদান না করা হয়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৪তম বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী। কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক, মো. মোসলেম উদ্দিন, মো. মামুনুর রশীদ কিরন, আনোয়ারুল আবেদীন খান, হোসনে আরা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
কমিটি সূত্র জানায়, মহামারির কারণে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকার পরও কেন আলুর দাম বেড়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে চাল ও আলুসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারা দেশের সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নে পারিবারিক পুষ্টিবাগান প্রকল্পের আওতায় কৃষক পরিবারকে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে ১৬ ধরনের সবজির উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ সময় কমিটির সদস্যরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় এ ধরনের কোনো বাগানের তথ্য জানেন না বলে উল্লেখ করেন। কমিটি পারিবারিক পুষ্টি প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করে।
বিদ্যুৎ বিভাগের বকেয়া ৮ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা : দেশের সরকারি-বেসরকারি গ্রাহকদের কাছে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের বকেয়া ৮ হাজার ৫৫৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বকেয়া পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে। তাদের বকেয়া বিলের পরিমাণ তিন হাজার ৭৯৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা। বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জনগণের হয়রানি রোধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়। কমিটি প্রকল্পের অপচয় রোধ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব প্রকল্প সম্পন্ন করার সুপারিশ করে। এছাড়া বিদ্যুতের সরকারি বকেয়া আদায়ের জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৬তম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার।
চলতি বছরেই নদী খনন সম্পন্ন করার সুপারিশ : চলতি বছরের মধ্যেই চলমান শুষ্ক মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গের নদী খনন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র ১৫তম বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন।