৪-৫ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টির আভাস : দুই সপ্তাহ পর বিদায় নিতে পারে শীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৪ এএম, ৩ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০২ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
শীতের প্রকোপ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আগামী ৪ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির (শুক্র-শনিবার) মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে। সেই বৃষ্টির পর আবারও দেশব্যাপী শীত বাড়তে শুরু করবে। এ সময় রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। তবে আগামী দুই সপ্তাহ পর বিদায় নিতে পারে শীত।
আজ বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রংপুরের কিছু কিছু জায়গায় এখনও শৈত্যপ্রবাহ আছে এবং গতকালের তুলনায় গতকাল বুধবার স্থানভেদে ১ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়াতে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা বাড়ছে। আমরা ইতোমধ্যে বৃষ্টিপাতেরও একটা পূর্বাভাস দিয়েছি। গতকালও শ্রীমঙ্গলে ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে এবং গতকাল চট্টগ্রামে কয়েকটা জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৪ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত সারাদেশে তাপমাত্রা বাড়তির দিকে থাকবে। বৃষ্টি চলে গেলে তখন আবার তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এই সময়ে বিশেষ করে রংপুর ও রাজশাহীর কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, যেহেতু দিনের ব্যাপ্তি বাড়তে শুরু করেছে, তাই সূর্যের আলো আগের তুলনায় এখন অনেক সময় ধরে পাওয়া যাবে। সুতরাং, মানুষের মধ্যে শীতের আমেজ ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করবে। তবে স্থানভেদে আরও দুই সপ্তাহ শীত থাকতে পারে। এদিকে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে শীতে জেঁকে বসেছে। কুলাশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। রাস্তায় মানুষের চলাচল একবারেই সীমিত। প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মিলছে পথে-ঘাটে। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। বুধবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় জেলায় বাতাসে আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার ছিল।
জেলার চিরিরবন্দরের আব্দুল হাই বলেন, দুই দিন ধরি ঠান্ডা একটু কমছিল। এই দুই দিন কাজে গেছি, গতকাল কাজে যেতে পারিনি। ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশার কারণে বাসায় বসে আছি। ঠান্ডায় হাত-পা কোঁকড়া নাগি যাছে। দিনমজুর ঠান্ডা বলেন, ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশার জন্য কিছু দেখা যাছে না। তাই মাঠ কাজে যেতে পারছি না। দুপুরের দিকে একটু বেলা দেখা গেলেও মেঘের কারণে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। নান্দেড়াই গ্রামের কৃষক মোক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডার জন্যি জমিতে ইরি-বোরো চারা লাগানোর মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। যারা কাজে যেতে চাচ্ছে তারা কাজের মূল্য বেশি চাচ্ছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেতুলিয়ায় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সৈয়দপুরে ৯.৮, রংপুরে ১১.৫, ডিমলায় ১১.০, নওগাঁয় ১০.৪, রাজশাহীতে ৯.৯, চুয়াডাঙ্গায় ১০.৭ এবং শ্রীমঙ্গলে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।