'দঙ্গল-কন্যা' এখন বেকার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ২১ মে,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৩৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
মাত্র ৮০ কোটি টাকায় বানানো হয়েছিল দঙ্গল ছবিটি। বক্স অফিস সেই থেকে তুলে এনেছিল ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি অর্থকরী সিনেমা এটি, যেখানে গীতা প্রগতের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফাতিমা সানা শেখ।
আমির খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনও উঠেছিল তাঁর। আমিরের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেছিলেন ফাতিমা। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না তাঁর। বলিউডে ক্যারিয়ারের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়েছে তাঁকে। মাত্র চার বছরের মাথায় ফাতিমা এখন বেকার। হন্যে হয়ে কাজ খুঁজে বেড়াচ্ছেন ২৯ বছর বয়সী ফাতিমা।
ভারতীয় এক দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফাতিমা জানান, তিনি নিয়মিত প্রযোজক ও পরিচালকদের কাছে কাজ চেয়ে খুদে বার্তা পাঠান। কারণ, তাঁরা প্রায়ই ভুলে যান যে ফাতিমা বলে একজন অভিনেত্রী আছেন। নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে ফাতিমার সহায় যেন এখন এসএমএস!
ফাতিমা বলেন, ‘আমি হাতে গোনা কয়েকটি সিনেমা করেছি। বলিউড খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ আর ঘটনাবহুল একটা জায়গা। আমাকে কারও মনে থাকার কথা না। তাই নিজ দায়িত্বে মাঝেমধ্যে সবাইকে মেসেজ করি। অডিশন দিতে আমার কোনো অসুবিধা নেই। নতুন ছবি করলে তাঁরা যেন আমাকে স্মরণ করেন।’
এখন যে বেকার হয়ে গেছেন, ফাতিমা নিজেই জানালেন সে কথা। কাজের কথাবার্তাও বিশেষ হয় না কারও সঙ্গে। বললেন, ‘ঘরে বসে আক্ষেপ করলে তো চলবে না। নিজের সুযোগ নিজেকেই তৈরি করতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে। কাজ চাইতে হবে।’
ফাতিমাকে শেষ দেখা যায় লুডো, সুরাজ পে মঙ্গল ভারি ও আজিব দাস্তানস সিনেমা গুলোতে। লুডোতে তাঁর অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়। নিজের অভিনয় প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই ফাতিমার। অনেকেই তাঁর অভিনয়ের অনেক প্রশংসা করেন।
ইন্ডাস্ট্রির মানুষের প্রশংসা তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে অভিনয় জানে, বোঝে, তাঁর কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়া পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার মতো এক স্বীকৃতি। তাতে আমি অনুপ্রাণিত আর আশাবাদী হই। তাঁরা যদি আপনার কাজ পছন্দ না করে, বুঝবেন “গেম ওভার।’”