চিত্রনায়ক শাহীন আলম আর নেই
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:২১ পিএম, ৯ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৩ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
শেষ রক্ষা হলো না। চলেই গেলেন চিত্রনায়ক শাহিন আলম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এ অভিনেতা। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
গতকাল সোমবার (৮ মার্চ) রাত ১০টা ৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
জানা যায়, গত মাসের শেষের দিকে এ অভিনেতা শরীরে জ্বর ও হালকা ব্যথা নিয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
পাঁচ বছর ধরে তিনি জটিল কিডনি রোগে ভুগছেন। সম্প্রতি তাঁর অসুস্থতা আরও গুরুতর হয়। বাড়তে থাকে তাঁর ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত কিছু সমস্যা। এ অভিনেতা অসুস্থতা নিয়ে খুব একটা বাইরে বের হতেন না। দীর্ঘদিন ধরে সিনেমা থেকে দূরে আছেন।
সিনেমা থেকে সরে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রয়াত এই অভিনেতা জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ের বয়স তখন ১৮। পড়তেন কলেজে। পরীক্ষায় খারাপ ফল করলেন। আবেগে আত্মহত্যা করেন মেয়ে। একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর শোকে তিনি ভেঙে পড়েন। এরপর হাতে থাকা কাজ শেষ করে সিনেমাকে বিদায় জানান।
শাহিন আলম শেষ ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান রকিবুল আলম পরিচালিত ‘দারোয়ানের ছেলে’ ছবিতে। অভিনয় ছাড়ার পর পুরোপুরি গার্মেন্টস ব্যবসায় মনোযোগ দেন তিনি। এরপর শুরু হয় তাঁর শারীরিক অসুস্থতা।
শাহিন আলম ১৯৬২ সালের ৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহন করেন। ঢাকায় বেড়ে উঠেছেন শাহিন আলম। অভিনয় করতেন মঞ্চে। ১৯৮৬ সালে নতুন মুখের কার্যক্রমে অংশ নিয়ে প্রবেশ করেন সিনেমায়। তখনই নজরে পড়েন ‘বে-দ্বীন’খ্যাত নির্মাতা এস এম শফির।
তিনি তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প ‘মাসুদ রানা’ ছবিতে মাসুদ রানা হিসেবে নির্বাচিত করেন শাহিন আলমকে। এই ছবির কাজ পরে এগোয়নি। ১৯৯১ সালে তাঁর অভিনীত ‘মায়ের কান্না’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর একসঙ্গে সাতটি ছবিতে সাইন করেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি দেড় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।
তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি ‘ঘাটের মাঝি’, ‘এক পলকে’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘চাঁদাবাজ’, ‘প্রেম প্রতিশোধ’, ‘টাইগার’, ‘রাগ-অনুরাগ’, ‘দাগি সন্তান’, ‘বাঘা-বাঘিনী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আলিফ লায়লা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘অজানা শত্রু’, ‘গরিবের সংসার’, ‘দেশদ্রোহী’, ‘আমার মা’, ‘পাগলা বাবুল’, ‘তেজী’, ‘শক্তির লড়াই’, ‘দলপতি’, ‘পাপী সন্তান’, ‘ঢাকাইয়া মাস্তান’, ‘বিগবস’, ‘বাবা’, ‘বাঘের বাচ্চা’, ‘বিদ্রোহী সালাউদ্দিন’, ‘তেজী পুরুষ’ ইত্যাদি।