বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা তরুণ মজুমদার মারা গেছেন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:২০ পিএম, ৪ জুলাই,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১২:১২ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা তরুণ মজুমদার আজ সোমবার (৪ জুলাই) কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি এবং হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
প্রখ্যাত এই পরিচালক ১৪ জুন থেকে কলকাতার বিশেষায়িত এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানকার অতি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি এবং হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
সোমবার (৪ জুলাই) সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে জরুরি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না এই প্রখ্যাত নির্মাতাকে। তরুণ মজুমদারের জন্ম ১৯৩১ সালে।
তরুণ মজুমদার তার জীবনে চারটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯০ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। এ ছাড়াও ফিল্মফেয়ার, বিএফজেএ পুরস্কার ও আনন্দলোক পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল এ নির্মাতাকে।
উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত চাওয়া পাওয়া (১৯৫৯) তরুণ মজুমদারের প্রথম পরিচালিত ছবি। তার পরিচালিত প্রথম জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি কাচের স্বর্গ (১৯৬২)। এরপর পলাতক, নিমন্ত্রণ, সংসার সীমান্তে (১৯৭৫), গণদেবতার মতো ছবিগুলো সমালোচক মহলে বহুল প্রশংসিত হয়। তার পরিচালিত বালিকা বধূ (১৯৬৭), কুহেলী (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), দাদার কীর্তি (১৯৮০), ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৫), পরশমণি (১৯৮৮) ও আপন আমার আপন (১৯৯০) বিপুল বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করে।
তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।