জায়েদকে ওমর সানীর থাপ্পড়, সানীকে গুলির হুমকির অভিযোগ জায়েদের বিরুদ্ধে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ১২ জুন,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১০ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ওমর সানীকে পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার (১১ জুন) রাতে এ ঘটনা প্রকাশ হলে ওমর সানী বললেন, ‘আমি জায়েদ খানকে চড় মেরেছি। কিন্তু কী কারণে মেরেছি, সেটাও তো জানতে হবে সবাইকে। আর চড় মারার পর আমাকে মারতে সে পিস্তল বের করে! কত্ত বড় সাহস!’
ওমর সানী আরও বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি, মানুষের ক্ষতি করতে করতে জায়েদের সাহস বেড়ে গেছে। কেউ কথা বলছিল না। চড় দিয়ে আমি না হয় শুরু করেছি। জায়েদ খান চরম বেয়াদবি করছিল। অনেক দিন ধরে জায়েদের বেয়াদবি মার্ক করছিলাম। তারপর বিয়েতে দেখার পর, কাছে গেছি। এরপর কষে থাপ্পড় মেরেছি। থাপ্পড় মারার পর সে পিস্তল বের করে বলে, “গুলি করে দেব কিন্তু।” আমি কইছি (সরি ফর মাই ল্যাঙ্গুয়েজ), পিস্তল তোর...(প্রকাশের অযোগ্য)। ... পোলা।’
সানী বলেন, ‘জায়েদ খান তো সব সময় পিস্তল নিয়ে ঘোরে। আমার কথা হইছে, ইন্ডাস্ট্রিতে ওর অত্যাচার সহ্য করতে করতে অনেকেই বিরক্ত। কেউ হয়তো মুখ ফুটে বলে না মানসম্মান হারানোর ভয়ে। আমি ভাবলাম, আর দেরি নয়, এখনই শুরু করতে হবে। তাই চড়টা দিয়ে শুরু করলাম। আমি চড় মেরেই বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাই।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন চলচ্চিত্রশিল্পী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যত দূর জানতে পেরেছি, মৌসুমীর সঙ্গে নাকি জায়েদ খান খারাপ আচরণ করেছে। এটা নিয়ে জায়েদের ওপর ওমর সানী ভীষণ বিরক্ত ছিলেন। খারাপ ব্যবহার করার কারণে ডিপজলের কাছে বিচারও দিয়েছিলেন বলে শুনেছি। ডিপজল বলেছিলেন, “থাক বাদ দাও। মারামারি করার দরকার নাই। সামনে জায়েদ আর মৌসুমীকে কোনো ডিস্টার্ব করবে না। মৌসুমীর কাছেও যাবে না।”
’নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই প্রত্যক্ষদর্শী এ-ও বললেন, ‘ডিপজলের এমন সমাধান ওমর সানী মেনে নিতে পারেননি। কয়েক দিন ধরে তাই জায়েদ খানকে খুঁজছিলেন। ধরেই নিয়েছিলেন, ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে জায়েদকে পাওয়া যাবেই। অনুষ্ঠানে ওমর সানী ঢুকেই সরাসরি জায়েদ খানকে চড় মারেন। তখন ডিপজলসহ চলচ্চিত্রের কয়েক অভিনয়শিল্পী সোফায় বসা ছিলেন।
চড় মারার সময় জায়েদের উদ্দেশে ওমর সানী বলেন, “তোরে (জায়েদ) না নিষেধ করছি, আমার বউরে (মৌসুমী) ডিস্টার্ব করবি না। কোনো ফাজলামি করবি না। অসম্মান করে কথা বলবি না।” সানীর চড় খাওয়া ও এমন সব কথা শুনে জায়েদ খান কোমর থেকে পিস্তল বের করে বলে, “গুলি করে দেব।” ওমর সানী পাল্টা জায়েদ খানকে বলে, “গুলি তোর ...(প্রকাশ অযোগ্য)। তুই আমারে চিনস। আমি ওমর সানী।”
জায়েদের পিস্তল বের করা দেখে ডিপজল উঠে দাঁড়ায়। বলেন, “এই, আমার বিয়ের অনুষ্ঠান।” এত বড় অনুষ্ঠান। এত মানুষ আছে, এসব কী! অনেক মানুষ থাকায় কেউ টের পায়নি। এরপর ওমর সানীকে ডাক দিয়ে ডিপজল বলেন, “খাইয়া যাবা না?” সানী বললেন, “আমার মাথা গরম। আমি খাব না।” এরপর গাড়ি চালিয়ে বের হয়ে যান ওমর সানী। সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনা ঘটেছে। ওমর সানী বের হওয়ার আধা ঘণ্টা পর জায়েদ খানও বের হয়ে যায়।’
তবে জায়েদ খান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এসব অভিযোগ ‘মিথ্যা’। তিনি বলেন 'এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি, নির্বাচনের রায় সামনে রেখে এমন করা হচ্ছে। আর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে পিস্তল নিয়ে যাওয়া যায় নাকি? আপনারা যারা গিয়েছেন দেখবেন কতটা সিকিউরিটি মেনটেইন করেন তারা৷ সেখানে কেউ আর্মস নিয়ে প্রবেশ করতে পারেন না। আমি বিয়ে বাড়িতে পিস্তল নিয়ে যাইনি।’
তিনি আরো বলেন,'মৌসুমী আপা আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। তাকে আমরা শ্রদ্ধা করি। আপার সঙ্গেও আপনারা কথা বলে দেখতে পারেন।'