ঢালিউডের ছবিতে নাসিরুদ্দিন শাহ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:৪৯ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০৭ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ঘরানার ছবি ‘প্রজেক্ট অমি’তে যুক্ত হয়েছেন বলিউড অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। ছবির পরিচালক অমিত আশরাফ এটি নিশ্চিত করেছেন। নাসিরুদ্দিন শাহকে ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে।
অমিত আশরাফ বলেন, ‘আমরা কয়েকবার নাসিরুদ্দিন শাহর সঙ্গে মিটিং করেছি। আমাদের ছবির গল্প ও চরিত্র দেখে তাঁর পছন্দ হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে সায়েন্স ফিকশন ঘরানার ছবি তৈরি হয় না বললেই চলে। আমাদের প্রজেক্টটি তাঁর ভালো লেগেছে। তিনি শুটিংয়েরও শিডিউল দিয়েছেন।’
‘প্রজেক্ট অমি’ ছবির গল্প সাজানো হয়েছে ২০৫০ সালকে ঘিরে। একজন হ্যাকার ও একজন ডিজিটাল আর্টিস্ট একটি ভার্চ্যুয়াল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) রোবট তৈরি করেন। যার নাম অমি। অমি ডার্ক ওয়েবের ভার্চ্যুয়াল সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই করেন।
ছবিটি প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের কাজী প্রোডাকশনস হাউস ও যুক্তরাজ্যের ফর ফিল্মস। ছবির বাংলাদেশি প্রযোজক হিমেল তারিক। এ ছাড়া ব্রিটিশ প্রযোজক জেনি ওয়াকার যুক্ত হয়েছেন ছবিটির সঙ্গে। জেনি বিবিসি, চ্যানেল ফোরের জন্য প্রামাণ্যচিত্রসহ বিভিন্ন প্রযোজনা তৈরি করেছেন।
প্রযোজক হিমেল তারিক বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে এত দিন ছবির কাজ স্থগিত ছিল। এ বছর থেকে পুরোদমে ছবির প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। এ কারণে আমরা বাংলাদেশে নিজস্ব প্রপ মেকিং স্টুডিও তৈরি করেছি। আগামী বছরের জুনের দিকে পুরান ঢাকায় শুরু হবে এ ছবির শুটিং।’
নির্মাতা অমিত আশরাফ বলেন, ‘আমরা আমাদের স্টুডিওকে হলিউড স্ট্যান্ডার্ড প্রপ মেকিং ওয়ার্কশপে রূপান্তরিত করেছি। সেখানে আছে থ্রি–ডি প্রিন্টার, লেজার কাটারস, ভিআর প্রি-ভিজ্যুয়ালাইজেশন ইত্যাদি। এগুলোর পেছনে আমাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে নেটফ্লিক্সের আই অ্যাম মাদার ছবিটি।’
নির্মাতা অমিত আশরাফের স্বপ্ন, বাংলাদেশের সিনেমা বিশ্ববাজারে হলিউড স্ট্যান্ডার্ড সায়েন্স ফিকশন সিনেমার মতোই সমাদৃত হবে একদিন। ছবির সঙ্গে হলিউডের অভিনয়শিল্পীরও যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, ছবিতে শিশুশিল্পীসহ বিভিন্ন বয়সের বাংলাদেশি অনেক অভিনয়শিল্পীকে নেওয়া হচ্ছে, যাঁরা ইংরেজি ও বাংলা—দুই ভাষায় কথা বলতে পারেন। এ জন্য ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে হবে।
ছবির নির্মাতা অমিত আশরাফ এর আগে ‘উধাও’ নামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এ ছাড়া তিনি বানিয়েছিলেন ‘কালি’ নামে একটি ওয়েব সিরিজ।