নচিকেতার নামে অডিটরিয়াম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ২১ আগস্ট,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৪৬ এএম, ১০ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। জীবন-বাস্তবমুখী গানের জন্য পেয়েছেন বিশ্বখ্যাতি। এবার হাওড়ার আমতায় ৮০০ আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম তৈরি হচ্ছে গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর নামে। নাম ‘নচিকেতা মঞ্চ’। ভূপেন হাজারিকা ছাড়া আর কোনও শিল্পীর এমন সৌভাগ্য হয়নি। বিরল এ সম্মাননায় স্বভাবতই খুশি নচিকেতা।
‘জীবনমুখী’ গানের সূত্র ধরেই তুমুল জনপ্রিয়তা নচিকেতার। বাংলা আধুনিক গানে ১৯৯০ উত্তরকালে সুমনের পরপরই যে বর্ণময় চরিত্রের নাম আসে, তিনি নচিকেতা। একসময় লিখেছিলেন, ‘তুমি আসবে বলেই দেশটা এখনও গুজরাট হয়ে যায়নি’।
গুজরাটে সাম্প্রদায়িক হিংসার পর কলমে, রাস্তায় সরব হয়েছিলেন নচিকেতা চক্রবর্তী। যার কারণে দুই বাংলায় তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। নচিকেতার নামে ২০১৯ সালে সাত দিনব্যাপী মেলাও হয়েছে হাওড়ায়। এবার আস্ত একটি প্রেক্ষাগৃহ।
১৪ আগস্ট হাওড়ার আমতায় একটি বেসরকারি নার্সিং ও ফার্মাকোলজি কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নচিকেতা। সেখানেই কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, এই কলেজে নচিকেতার নামে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হবে।
নচিকেতা চক্রবর্তী জানালেন, 'লজ্জা লাগছে। তবে আনন্দও হচ্ছে। আমার অনুষ্ঠান দিয়ে প্রেক্ষাগৃহের যাত্রা শুরু হলে আরও ভালো লাগবে।'
শুরু থেকেই স্রোতের বিপরীতে হাঁটতে ভালবাসেন নচিকেতা। একুশ শতকে দাঁড়িয়েও স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না তিনি। ‘ক্যাবলা’ ফোনেই সারেন কথা বলা আর মেসেজিংয়ের কাজ। নিজের কোনও ইমেল আইডিও নেই। সম্প্রতি আত্মজীবনী শুরু করেছেন গায়ক। নাম দিয়েছেন ‘বিপজ্জনক হারমোনিয়াম’।
৩০ বছরের সংগীত জীবনে প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি স্টেজ শো। প্রকাশিত হয়েছে প্রায় ৮০০ গান।
অগ্রগতির কর্ণধার তপন মণ্ডল জানিয়েছেন, নচিকেতা তো শুধু সুরকার-গায়ক নন, দার্শনিকও। তার গানবন্দি দর্শনের ম্যাজিকে বহু জীবনে পরিবর্তন এসেছে। বিপদগামী ছাত্রযুবর প্রেরণা হয়ে উঠেছেন নচিকেতা। এমন মানুষকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অডিটরিয়াম বানানোই যায়।