নিজ নিজ অবস্থানে অনড় তাবলিগের দুই পক্ষ, শুক্রবার কী হবে কাকরাইল মসজিদে?
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৫ এএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৯:০০ এএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা ও কাকরাইল মসজিদ নিয়ে তাবলিগ-জামাতের দুই পক্ষ ক্রমশ সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে। পূর্বের বরাদ্দ অনুযায়ী আগামী শুক্রবার থেকে মাওলানা সাদপন্থিদের কাকরাইল বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও শক্তি প্রদর্শন করে দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম ও কওমি মাদরাসার ছাত্ররা।
অপরদিকে তাবলিগের সাদ অনুসারীরাও কয়েক লাখ লোকের জমায়েতের মাধ্যমে তাদের জনশক্তি জানান দিয়ে কাকরাইল মসজিদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
তাবলিগ-জামাতের বিবদমান দ্বন্দ্বের পর থেকে বিগত ৭ বছর যাবত প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের ক্ষেত্রে জুবায়েরপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
অপরদিকে কাকরাইল মসজিদের একটি অংশে এমনিতেই জুবায়েরপন্থিরা সারা বছর আলাদা অবস্থান নিয়ে থাকেন। কিন্তু হেফাজতপন্থি আলেমদের সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রেক্ষাপটে জুবায়েরপন্থিরা পূর্বের নিয়ম অমান্য করে কাকরাইল মসজিদ স্থায়ীভাবে দখল নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ ধর্মীয় সংঘাত ও হতাহতের মতো ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মুসল্লিরা। তারা মনে করছেন, আসন্ন সংঘাত এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যস্ততা জরুরী। আলেম-ওলামাগণ এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের পথ বের করবেন বলেও তাদের আশা।
তাবলিগের মাওলানা সাদপন্থির অনুসারী গ্রুপের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম এ বিষয়ে বলেন, আমরা শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণ আলোচনা ও সহাবস্থানের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু জুবায়েরপন্থিরা উগ্রতার দিকে হেঁটে পরিস্থিতিকে জটিল ও সাংঘর্ষিক করে তুলছেন। আমরা স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সকালে কাকরাইলে প্রবেশ করবো। এখানে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে এর দায় যুবায়েরপন্থিদের ও প্রশাসনকে নিতে হবে।
দিনকাল/এসএস