গ্যাটকো মামলার চার্জ শুনানির নতুন দিন ২২ ডিসেম্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩০ এএম, ১৯ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০১:২৮ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠন শুনানি আরও এক দফা পিছিয়ে আগামী ২২ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নজরুল ইসলাম বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ তারিখ দেন।
এর আগে গেল ১৩ অক্টোম্বর একই আদালত বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় শুনানি মুলতবি করে ১৮ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছিলেন। ওইদিনের মতো আজও বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তাঁকে আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। ফলে বিচারক আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২২ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন। ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল এ মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান বেগম খালেদা জিয়া।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো মামলা দায়ের করেন। মামলার পরদিনই বেগম খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৮ সালের ১৩ মে বেগম খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা।
আলোচিত এ মামলার ২৪ আসামির মধ্যে এরইমধ্যে ৭ জন মারা গেছেন। তারা হলেন- খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম। বর্তমানে এ মামলায় আসামির সংখ্যা ১৭ জন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।
এছাড়াও গ্যাটকোও ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে অবৈধভাবে আরাফাত রহমান কোকো ও ইসমাইল হোসেন সায়মন ২ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৬ টাকার আর্থিক সুবিধা নেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।