হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির বাবুনগরী ও সংগঠনটির মহাসচিব কাসেমী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩০ এএম, ১৬ নভেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০২:১৩ পিএম, ২২ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৪
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির নির্বাচিত হয়েছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। সংগঠনটির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার আমির নূর হোসাইন কাসেমী।
আজ রোববার দুপুর আড়াইটার কিছু আগে এ ঘোষণা দেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) মহাসচিব ও হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মাহফুজুল হক।
আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর ৫৯ দিন পর কওমি অঙ্গনের শীর্ষ সংগঠন হেফাজতের প্রথম কেন্দ্রীয় সম্মেলন (কাউন্সিল) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরী।
এদিকে, হেফাজতের আজকের এই সম্মেলনের বিরোধিতা করছে হেফাজতের আল্লামা শফীপন্থীরা। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সম্মেলনের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দিন রুহী। আল্লামা শফীকে পরিকল্পিতভাবে ‘হত্যা’ করা হয়েছে বলে দাবি করেন শফীপন্থীরা।
হেফাজতের নতুন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপরা চত্ত্বরের সমাবেশের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি মুক্তি পান।
বাবুনগরী ১৯৫৩ সালের ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বাবুনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৫ বছর বয়সে তিনি আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরে ভর্তি হন। এরপর ১০ বছর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামে শিক্ষা লাভ করেন। ২০ বছর বয়সে তিনি পাকিস্তানের জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়াতে চলে যান। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করার পর তিনি হাদিস বিষয় পিএইচডি (তাখাচ্ছুছাত) সম্পন্ন করেন।
অন্যদিকে হেফাজতের নতুন মহাসচিব নূ হোসাইন কাসেমী ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। তিনি ১৯৪৫ সালের ১০ জানুয়ারি, রোজ শুক্রবার কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার চড্ডা নামক গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করার পর চতুর্থ শ্রেণি শেষ করে চড্ডার কাশিপুর মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখানে মুতাওয়াসসিতাহ জামাত পর্যন্ত পড়েন। তারপর তিনি বড়ুরার মাদ্রাসায় হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। এরপর ভারতের সাহারানপুর জেলার বেড়ীতাজপুর মাদরাসায় জালালাইন জামাত পড়েন।
১৯৮২ সালে কাজী মু’তাসিম বিল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগে তিরমিযী শরীফ পড়াতে থাকেন। এখানে ৬ বছর শিক্ষকতা করার পর ১৯৮৮ সাল থেকে অধ্যাবধি পর্যন্ত জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা এবং ১৯৯৮ সাল থেকে অধ্যাবধি জামিয়া সুবহানিয়ার শায়খুল হাদীস ও অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।
নূর হোসাইন কাসেমী ১৯৭৫ সালে জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে চলে আসেন। তিনি ৭ নভেম্বর ২০১৫ সালে জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের মহাসচিবের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি খতমে নবুয়ত আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।