সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছিলো: মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৫ এএম, ৮ নভেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০২:১৮ পিএম, ২২ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৪
সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৭ নভেম্বর উপলক্ষ্যে ভোরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় অফিসে দলীয় পতাকা উত্তালন করেছে। দিবসটিকে সামনে রেখে প্রকাশ করেছে জিয়াউর রহমান ছবি সম্বলিত পোস্টার। বিকাল তিনটায় রয়েছে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। দিবসটি উপলক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃধক পৃথক বানীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আজ শনিবার সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছিলো। যে জাতীয় আন্তর্জাতিক কারণে ৩ নভেম্বরে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করা হয়েছিলো, সেই চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক সিপাহী এবং জনগন তারা ৭ নভেম্বরে জিয়্উার রহমানকে মুক্ত করে দেশে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতাকে সুসংহত করেন। একই সঙ্গে গনতন্ত্রের যে পথ সেই পথের নতুন সুচনা করেন। প্রকৃত পক্ষে ৭ নভেম্বর থেকেই এদেশ একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জনগনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবার সেই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিলো এবং তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। এই ঐতিহাসিক দিবসটি স্মরণ করবার জন্য আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্ বৃন্দ আজকে এখানে এসেছিলাম তার মাজারে পুস্পস্তবক অপর্ন ও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
তিনি বলেন, আজকের এই দিনটি বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে দেশ একই ভাবে ১৯৭৫ এর পূর্বে যে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো, জনগনের অধিকারকে হরণ করা হয়েছিলো। সেজন্য আজকে আমরা আজকে শপথ নিয়েছি যে, আমরা গণতন্ত্রকে উদ্ধার করবো, মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং এই গণতন্ত্রের সংগ্রামকে অবশ্যই জয়ী করবো ইনশাল্লাহ।
সকাল ১১টায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দলের প্রতিষ্ঠাতার মাজারে পুস্পমাল্য অর্পন করে শহীদ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তারা নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় মহানগর দক্ষিন ও উত্তর, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষকদল, ছাত্রদল, তাতী দল, মতস্যজীবী দলসহ অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়। এ সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবু উদ্দিন খোকন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা মুন্সি বজলুল বাসিদ আঞ্জু, আব্দুল আলীম নকী, কাজী আবুল বাশার, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল কুদ্দুস , মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খানসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্বপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনা প্রধানের দায়িত্ব আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনা বাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়, জিয়াউর রহমান হন গৃহবন্দী। ৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসেন জিয়া।