সর্বোচ্চ আদালত বন্ধ থাকতে পারে না - প্রধান বিচারপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪২ এএম, ৫ এপ্রিল,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৩৪ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, সাংবিধানিক কোর্ট (সর্বোচ্চ আদালত) বন্ধ থাকতে পারে না। করোনায় ভারতের সাংবিধানিক কোর্ট কখনও বন্ধ থাকেনি। লকডাউন দেয়া হলে আপিল বিভাগের কার্যক্রম চলবে কি-না, সিনিয়র আইনজীবীরা জানতে চাইলে আজ রবিবার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি এমন কথা বলেন। করোনাসহ যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিচারকাজ অব্যাহত রাখতে গত বছর রাষ্ট্রপতি আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করেন। গত বছরের ১০ মে থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে বিচারকাজ শুরু হয়।
পরে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আদালত কর্তৃক ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার বিল-২০২০’ পাস করে। শনিবার (৩ এপ্রিল) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, আজ সোমবার থেকে দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন চলবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
একইদিন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে সাতদিনের লকডাউনের আদেশ জারি হতে পারে। লকডাউন ঘোষণার প্রস্তাব ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে লকডাউন ঘোষণা হতে পারে। সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার লকডাউনের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু, নমুনা পরীক্ষা, নতুন রোগী শনাক্ত এবং সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এপিডেমিওলজিক্যাল ১২তম সপ্তাহের (২১ থেকে ২৭ মার্চ) সঙ্গে এপিডেমিওলজিক্যাল ১৩ম সপ্তাহের (২৭ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল) তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিগত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে মৃত্যু ৭১ দশমিক ১৪ শতাংশ, নমুনা পরীক্ষা ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, শনাক্ত ৬৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ বেড়েছে। ২১ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয় ২৩ হাজার ২০০ জন, মৃত্যু হয় ২০১ জনের। ১৩ হাজার ২০৪ জন রোগী মহামারি থেকে এই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয় ৩৮ হাজার ৪৭১ জন, মারা গেছেন ৩৪৪ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ হাজার ৮৫৩ জন।