জামিন জালিয়াতির ঘটনায় বগুড়ায় যুবলীগ নেতা আমিনুলসহ ৩৩ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৪ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪৫ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
হাইকোর্টের জামিননামা জালিয়াতি করায় বগুড়ার যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামসহ ৩৩ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি কেএম হাফিজুল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত ব্রেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গতকাল বুধবার এই নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, ভুয়া জামিননামা তৈরী করে জামিন জালিয়াতির ঘটনায় বগুড়া সদর উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও পৌরকাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম,আব্দুল আলিম, আনোয়ার হোসেনসহ ৩০জনকে সাতদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বগুড়া সদর থানার ওসিকে। এছাড়া বিষয়টি তদন্ত করতে বগুড়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরোও জানা যায় গত মঙ্গলবার ৯ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২ টার দিকে বগুড়ার চারমাথা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে পুড়িয়ে দেওয়া হয় অন্তত ১০ টি মোটরসাইকেল। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা মোটরমালিক গ্রুপের কার্যালয়। একই সঙ্গে পুড়েছে শাহ ফতেহ আলী বাস পরিবহনের কার্যালয়ও। এর প্রেক্ষিতে মামলার আসামী হয় আমিনুল। বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গত তিন বছর ধরে বিরোধ চলে। এর মধ্যে এক গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম মোহন। আরেক গ্রুপে রয়েছেন বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম। এই সংঘর্ষ কে কেন্দ্র করে মামলা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, এটা আদালতের সঙ্গে প্রতারণা। আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এটা সম্পূর্ণ জালিয়াতি। একটি চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠিনতর ব্যবস্থা নিতে হবে। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, এই আদালত কোনোদিনও আগাম জামিনের আবেদন শোনেন না। আর জামিননামায় যেসব আইন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুজন ২০১৯ সাল থেকে আর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে নেই। অন্যজন পদোন্নতি পেয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হয়েছেন। এ থেকেই বোঝা যায় এই কাগজটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’
তিনি আরও বলেন, এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতরা পার পেয়ে গেলে সমাজের কাছে একটি খারাপ বার্তা যাবে। এ কারণেই আদালতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছি। আদালত তাদের গ্রেপ্তারে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বগুড়ার আদালতকে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।