২১ আগস্ট মামলার বিচার অবৈধ ছিল : হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০১:১৭ পিএম, ৪ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই মামলার বিচার অবৈধ ছিল বলে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়।
আজ রোববার (০১ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা মামলায় আপিলে খালাস দেওয়া হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার সব আসামিকে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, সাক্ষীরা ঘটনার বর্ণনা করেছেন, কিন্তু কে গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছেন তা কোনো সাক্ষী বলেননি।
এছাড়া ২১ আগস্টে কে গ্রেনেড সরবরাহ করেছে তা চার্জশিটে উল্লেখ করেননি কোনো তদন্ত কর্মকর্তা। রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির এই তথ্য দেন।
এদিন সকাল ১১টায় বহুল আলোচিত মামলাটির ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের রায় ঘোষণা শুরু হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, রাসেল আহমেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার।
অপরদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
এছাড়া লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরও তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গত ২১ নভেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষ করেন। সেদিন আদালত মামলা দুটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় রায়ের জন্য মামলা দুটি আদালতের আজকের কার্যতালিকায় উঠে আসে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলটির নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েক শ নেতাকর্মী।
ওই হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুইটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত মামলা দুটির রায় দেন।
রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ২০১৮ সালে এটি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুই মামলায় আলাদা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।