তাৎক্ষণিকভাবে সমাজসেবার ডিজিকে সরানোর নির্দেশ দিলেন আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৪ পিএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:১৭ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল ওএসডি হওয়ার পরও তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখায় আদালত বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরী ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন এবং অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
গত ৫ নভেম্বর সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক হিসেবে ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে ওএসডি করার পরও তিনি ১৫ দিনের মধ্যে তাকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক পদে তার দায়িত্ব পালনের বৈধতা নিয়ে রুল জারি করা হয় এবং জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ১১ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ওএসডি হয়েও পদ ছাড়ছেন না সমাজসেবা অধিদফতরের ডিজি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে ১৭ সেপ্টেম্বর বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তবে এক মাস পরেও তিনি ওই আদেশ অমান্য করে ডিজি পদে কর্মরত ছিলেন।
ওএসডি হওয়া সত্ত্বেও অফিস করার বিষয়টি ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল নিজেই স্বীকার করে তিনি জানান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিকভাবে তাকে অফিস করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আর সে অনুযায়ী তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি হলেও দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয় থেকে তাকে অবমুক্ত না করা পর্যন্ত তিনি অফিস করতে পারবেন। এ সময় তিনি বলেন, তার জায়গায় এখনও কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
ওএসডি হওয়া ডিজির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তার নতুন পদ হলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রথম গ্রেডের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হওয়ার কথা বলা হয়েছে, অর্থাৎ আদেশ জারির পরদিন থেকেই এটি কার্যকর হওয়া উচিত ছিল।
তবে সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন যে, ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল রাষ্ট্রপতির আদেশ অমান্য করে কাজ করে যাচ্ছেন।