আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের পর্যটন শিল্পে সম্পৃক্ত করা হবে : সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৮ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৬:৪৫ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের পর্যটন শিল্পে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের অকুতোভয় বীর শহীদদের গৌরবগাথাকে অমলিন করার লক্ষ্যে শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে এই শিল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের নিবিড় এবং টেকসই উন্নয়নে তরুণ প্রজন্মসহ দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পর্যটন সচিব।
নাসরীন জাহান বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পর্যটন শিল্পের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে তরুণ ও যুবকদের এ সেক্টরে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করার উদ্যোগ নেয়া হবে। এর মাধ্যমে নবীনরা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে অবদান রাখার সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) যথাযথভাবে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪’ উদযাপিত হতে যাচ্ছে। জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার নির্ধারিত এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড পিচ’, বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় ‘পর্যটন শান্তির সোপান’।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিচ্ছেদ্য সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের অকৃত্রিম সৌন্দর্য, সিলেটের চা-বাগানসহ আরও অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি আমাদের এ প্রিয় দেশ।
বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক এবং প্রতœতাত্তি¡ক স্থানগুলো এবং বাঙালির আতিথেয়তাকে পর্যটন সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পর্যটন শিল্প বিকাশের সব সম্ভাবনা এ দেশে বিরাজমান। একে কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার ব্যাপারে কাজ করছি। এ ব্যাপারে সবার সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ করা হবে।