মধ্যরাতে হাসপাতালে নেওয়া হলো খালেদা জিয়াকে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১০ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:৫৭ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মধ্যরাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে ।
গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে উদ্ধৃত করে বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, "বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রাত ১টা ৫ মিনিটে খালেদা জিয়া তাঁর গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।"
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাঁকে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৭ জুলাই দিবাগত রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বিএনপির চেয়াপারসন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জরুরি ভিত্তিতে পরদিন ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় গুলশানের বাসায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিগগিরই তাঁকে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের নভেম্বরে বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর পরিবার ও দলের পক্ষ থেকেও সরকারের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন জানানো হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার তা উপেক্ষা করে এসেছে। সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছিল।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পান। তবে উড়োজাহাজে ভ্রমণের মতো অবস্থা না থাকায় এখনই তাঁকে বিদেশ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।