ভারত বিরোধীতার কারণে আমাকে গুম করা হয়েছে : ব্রিগেডিয়ার আযমী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৩:২১ এএম, ২৯ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারত বিরোধী লেখালেখি ও গোলাম আযমের সন্তান হওয়ার কারণে গুম করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আজমি।
আজ মঙ্গলবার সকালের রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে অনলাইন জুমের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আমাকে যখন একটি ঘরে আবদ্ধ করা হল তখন জিজ্ঞাস করা হয়েছিল কেন আমি ভারতের বিরুদ্ধে লেখি। কেন ফেসবুকে ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এতে স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে তারা কেন আমাকে আয়নাঘরে আটকিয়ে রাখেন।
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা অফিসারের খুনের বদলা চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোরআনে আছে খুনের বদলে খুন। আমি তদন্ত করে বিচারের আহ্বান জানাই। বিগত আমলে যারা তদন্ত করেছে, তারা দায়সারা ভাবে তদন্ত করছে। ওই হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। নতুন সরকার এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ব্রিগেডিয়ার আযমী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান কোনো রকম জরিপ ছাড়াই মুক্তিযুদ্ধের শহিদের সংখ্যা প্রকাশ করেন। একটা যুদ্ধে কত মানুষ মারা গেলেন তার কোনো সঠিক সংখ্যা জাতি এখনো জানে না।
শহিদের সংখ্যা নিয়ে একটি জরিপ হয়েছিল উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার আযমী বলেন, একটা জরিপ হয়েছিল যেখানে ২লাখ ৮৬ হাজার শহিদের সংখ্যা জানা গেলেও শেখ মুজিবুর রহমান ৩ লাখ বলতে গিয়ে ৩ মিলিয়ন বলে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রিগেডিয়ার আযমী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত যেন নতুন করে লেখা হয়। বর্তমানে যে জাতীয় সংগীত চলছে তা করেছিল ভারত। দুই বাংলাকে একত্রিত করারজন্য করা হয়েছিল এই জাতীয় সংগীত। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তাই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নতুনভাবে হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মরহুম গোলাম আযমের মেজো ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী গত ৬ আগস্ট মুক্তি পান আয়নাঘর থেকে।