৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পাওয়া গেছে : প্রকল্প পরিচালক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ১২:২৯ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নির্বাচন কমিশনের কাছে সংরক্ষিত ৪০ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান। ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো মেরামতের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পিডি। এর আগে ইভিএম নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, যাচাই-বাছাই করে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পাওয়া গেছে। ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো মেরামতের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হচ্ছে। আর ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম ভোটের জন্য প্রস্তুত রাখা আছে। অর্থ সংকটে নতুন ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। ফলে মজুত থাকা ইভিএমের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। যে পরিমাণ ইভিএম মজুত আছে, এর মধ্যে কতগুলো এখন ব্যবহারযোগ্য আর কতগুলো মেরামত করতে হবে সে হিসাব আমরা করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে মজুত থাকা ৭০ হাজার এবং অন্যান্য গোডাউনে থাকা ৪০ হাজারসহ মোট ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম এখন ভোটের জন্য সচল রয়েছে। বিভিন্ন সময় ভোটের পর সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করাসহ অযত্ন, অবহেলায় ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো অকেজো হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএম ক্রয় করেছিল নির্বাচন কমিশন।
একাদশ সংসদের ৬টি আসনসহ গত ৫ বছরে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন এবং বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের আগে পরে ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলার ৪০টিরও বেশি অস্থায়ী গুদামে ইভিএমগুলো সংরক্ষণ করা আছে। কিন্তু পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেক ইভিএমই এখন ত্রুটিপূর্ণ। গত ৪ মাস ধরে টানা কিউসি করে ৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।