শেখ হাসিনার সরকারের আমলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে : আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৫ পিএম, ১ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:২৬ পিএম, ৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের সময়। যেসব ক্ষেত্রে জনগণ বিচার পায়নি, সেসব ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সেবামূলক সরকারের আমলে মানুষ বিচার পেয়েছে। অর্থাৎ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে যারা বলছেন, অতীতে রোজ মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে সে কথা তারা বলেন না। তাদের বক্তব্য কতটা বিশ্বাসযোগ্য প্রশ্ন রাখেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই সরকারের মেয়াদ ৫ বছর। সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, একটা জাতীয় নির্বাচন হবে। ঠিক সেভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের কাছে, শেখ হাসিনার সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব অঙ্গীকার করা হয়েছিল জনগণের কাছে, যেগুলো এখনো পূরণ হয়নি সেগুলো শেষ করা। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। নির্বাচন একটি সাধারণ বিষয়। নির্বাচন সঠিক সময়, সঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় সাফল্য শেখ হাসিনা বলেছিলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করবেন। ২৫ জুন পদ্মা সেতু হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল চালু হয়েছে। যত উন্নয়ন প্রকল্প এ বছর শেষ হওয়ার কথা, আমরা সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে সেসব প্রকল্প শেষ করবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সময় মতো উন্নয়ন কাজ শেষ করাও চ্যালেঞ্জ হয়। আমরা কোভিড থেকে ওঠার চেষ্টা করছি। এখনো শোনা যাচ্ছে, চীনে আরও কোভিড রোগী আছে। আরেকটা কারণ হচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এগুলোর প্রভাব কাটিয়ে উঠে যেসব প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি আমরা জনগণকে দিয়েছিলাম, সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা চ্যালেঞ্জ।
২০১৪ ও ২০১৮ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে দল নির্বাচনে আসেনি সেটা আমাদের দায়িত্ব না। আমরা এখনো আশা করবো, ৫ বছর পূরণ করার পরে যে সময়; সেটা ২০২৩-এর শেষে বা ২০২৪-এর প্রথমে হোক, যে সময় নির্বাচন হবে তখন সব দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা, সেটা যে দলই করুক; সেটাকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। সামগ্রিকভাবে আমরা চেষ্টা করছি, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করার জন্য।