বিএনপির শূন্য ৬ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল রবিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৫০ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া আসনগুলোর উপনির্বাচনের তফসিল রবিবার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী রবিবার কমিশন সভা রয়েছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘সে সভায় শূন্য আসনের উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে সিডিউল রয়েছে। সভা শেষে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।’
ঠিক কবে হতে পারে নির্বাচন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারি ছুটি, পাবলিক পরীক্ষা এবং ধর্মীয় উৎসব আছে কিনা তা দেখেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ এবং সিসি ক্যামেরার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে কারা কাজ করবেন এ বিষয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।
সামনের নির্বাচনে বিএনপিকে ডাকবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাব না। আমাদের তফসিল ঘোষণা হবে সবদলের জন্য।’
এদিকে নির্বাচনী আইন সংশোধনে আইন মন্ত্রণালয় ইতিবাচক বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের উভয় পক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে তারা এ বিষয়ে সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত দেবেন।’
আইনের ভাষা, দাড়ি-কমাসহ অন্যান্য দিকগুলো ঠিক আছে কিনা তা যাছাই-বাছাই করেই আইন সংশোধন হবে বলেও জানান তিনি।
১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির দলীয় সাতজন এমপির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। এর পরদিন ১১ ডিসেম্বর বেলা ১২টার দিকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে গিয়ে বিএনপির সাত এমপি জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
বিএনপির সাত এমপির মধ্যে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
আর অস্ট্রেলিয়া থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এবং অসুস্থতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের পক্ষে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
পদত্যাগপত্র দেয়ার পর ওইদিনই আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট থেকে আটজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে বিএনপির ছয়জন এবং গণফোরামের দুজন। বিএনপির ছয়জনের মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ছিলেন।
নির্ধারিত সময়ে শপথ না নেওয়ায় মির্জা ফখরুলের আসনে উপনির্বাচন হয় এবং সেখানে বিএনপির আরেক প্রার্থী জয়ী হন। এরপর সংরক্ষিত আসন থেকে রুমিন ফারহানা এমপি হলে বিএনপির সংসদ সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় সাতজনে।