২০৪১ সালে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ১২ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫৬ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আগামী ২০৪১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ২০২১ সালে আমরা লক্ষ্য স্থির করে ছিলাম, আমরা সেটা করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ করবো। সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে চলে যাবো।’
আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’ শীর্ষক আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি ভিত্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য চারটি ভিত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- ১. স্মার্ট সিটিজেন; অর্থাৎ প্রত্যেক নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবেন। ২. স্মার্ট ইকোনোমি; অর্থাৎ অর্থনীতির সব কাজই প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা হবে। ৩. স্মার্ট গভর্নমেন্ট; এটা ইতোমধ্যে অনেকটা করা হয়েছে, বাকিটাও করে ফেলা হবে এবং ৪. স্মার্ট সোসাইটি; অর্থাৎ আমাদের পুরো সমাজটাই হবে স্মার্ট।’
শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমার ৭৬ বছর বয়স। বেশিদিন তো আর (বাঁচবো না)... যে কোনোদিন অক্কা পেতে পারি, তাই না? যে কোনোদিন চলে যেতে পারি। তারওপর গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা... তারেক জিয়া-খালেদা জিয়াতো আমাকে ছেড়ে দেয়নি।
বারবার আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। হ্যাঁ, আমরা আইভি রহমানকে হারিয়েছি, বহু নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। কিন্তু বার বারতো এ আঘাতগুলো এসেছে আমার ওপর, হয়তো সামনেও আসবে। আমি এগুলো পরোয়া করিনি, করবো না। আমি আমার পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান, সেটাও করে দিয়ে গেলাম। ২০২১ থেকে ২০৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়ে গেলাম।... আর ২১০০ সালে এই বদ্বীপ, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যেন এই বদ্বীপে জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়। দেশ উন্নত হয় এবং উন্নত দেশে স্বাধীনভাবে সুন্দরভাবে স্মার্টলি যেন তারা বাঁচতে পারে। এখন সব নির্ভর করছে আমাদের ইয়াং জেনারেশনের উপর, যুব সমাজের উপর। তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের উন্নতী; এটাই ছিল আমাদের ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহার। আমরা সেই কাজটাই করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে জয় সিলিকন টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম ও সিনেপ্লেক্স এবং বরিশালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার মূলনীতি— প্রগতিশীল প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি শীর্ষক একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার (২০২২) এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২২ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্তিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।