বিএনপি সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে রাজপথেই মোকাবিলা : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪০ পিএম, ৫ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩৫ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
আওয়ামী লীগ সরকার কখনো দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘সরকার বিএনপিকে অনেক ছাড় দিয়েছে; কিন্তু সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে রাজপথেই তাদের মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ।’
আজ সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) সকালে বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিন নেতার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার বিএনপিকে এতদিন ছাড় দিয়েছে। ১০ ডিসেম্বরে যদি বাড়াবাড়ি ও বিশৃঙ্খলা করে তাহলে সরকার ছাড় দেবে না।’
শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার বিএনপির আছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে। বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বাধা; তারা সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক।’
তিনি আরও বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না সেটা আমরা আজও জানি না। কোনদিন জানা যাবে সেটাও এই মুহূর্তে বলা যাবে না। হোসেন সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র। গণতন্ত্রই তার জীবনের মূল ভিত্তি।’
শাসনতন্ত্রের প্রশ্নে জনগণের রায়ই শেষ কথা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজ জনগণই হচ্ছে আমাদের ক্ষমতার উৎস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের প্রক্রিয়া পদে পদে বাধার মুখে রয়েছে। কণ্টকাকীর্ণ পথ। এখানে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল ঘটেছে।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেন। সারা দেশ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের পক্ষে, স্বাধীনতার আদেশের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে তিনি ক্যাম্পিং করেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তি ঘটিয়েছেন।
গণতন্ত্র বিকাশমান প্রক্রিয়া; শেখ হাসিনার সরকার সেটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কাজ করছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, আজিজুস সামাদ আজাদ (ডন) ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।