আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ নয় : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ৪ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০০ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ নয়। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’। আমরা তা (বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি) স্পষ্টভাবে অনুসরণ করে চলছি এবং সে অনুযায়ী দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
আজ রবিবার (০৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘ কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২২ এর ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নবীন অফিসারদের হতে হবে ২০৪১ সালের সৈনিক, যারা দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা ২০২১ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি, তাই আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী নবীন ক্যাডেটদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের প্রতি তাদের পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে আজ আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত অফিসার হতে যাচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি, মাতৃভূমি এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথের মাধ্যমে যে পবিত্র দায়িত্ব আপনাদেরকে অর্পণ করা হয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করবেন।’
প্রতিটি দুর্যোগ ও কঠিন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী সন্তানদের মাতৃভূমির সেবা করতে দেয়ায় নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিভাবকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (এআরটিডিওসি) এর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার ও ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং বিএমএ কমান্ড্যান্ট তাতে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে সজ্জিত মঞ্চ থেকে সালাম গ্রহণ করেন এবং প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে একটি চিত্তাকর্ষক কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন। তিনি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং বিএমএ কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল এসএম কামরুল হাসানের সাথে একটি খোলা গাড়িতে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
ব্যাটালিয়নের ৮৩তম বিএমএ লং কোর্সের সিনিয়র আন্ডার অফিসার লাবিব জোহাইর নূর আনান সেরা অলরাউন্ড ক্যাডেট হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ পেয়েছেন। অন্যদিকে কোম্পানির সিনিয়র আন্ডার অফিসার এস এম জহিরুল ইসলাম নিলয় সামরিক বিষয়ে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ‘সেনা প্রধান স্বর্ণপদক’।
অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে ‘সোর্ড অব অনার’ ও ‘সেনা প্রধান স্বর্ণপদক’ তুলে দেন।