কারারক্ষী পদে নিয়োগ ও বদলির অনিয়ম : হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ৯ নভেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
কারারক্ষী পদে নিয়োগ ও বদলির অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা কারা মহাপরিদর্শককে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে বিষয়টি জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷
এক রিট মামলার প্রথমিক শুনানি করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বুধবার এ আদেশ দেয়৷ একইসাথে রুল জারি করে আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলেছে৷
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান৷ সাথে ছিলেন মো. আবুল কালাম৷ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার৷
‘চাকরি ফিরে পেতে চান কুলাউড়ার জহিরুল: জালিয়াতি করে কারারক্ষী পদে চাকরি ১৮ বছর পর তদন্তে প্রমাণিত!' শিরোনামে দৈনিক যায়যায়দিনের একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে এই রিট আবেদন করা হয়৷
ঘুষ এখন ডলারে, দুদক কী করে, প্রশ্ন হাইকোর্টের
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু৷ নিয়োগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল৷ কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র না পাওয়ায় চাকরির আশা ছেড়ে শহরে ব্যবসা শুরু করেন৷
কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর তিনি জানতে পারেন, প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন৷ পরে তদন্তে ওই জালিয়াতির সত্যতাও পাওয়া যায়৷
সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এজি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার ইকবাল হোসেনের তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে বলে যায়যায়দিনের প্রতিবেদনে জানানো হয়৷
মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানিতে আরো একাধিক সংবাদ প্রতিবেদনের সারবস্তু উঠে আসে৷ এ রকম একটি প্রতিবেদনে ২০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হয়৷ আলোচনায় আসে কারা কর্তৃপক্ষের একটি তদন্তও, সেখানে ৮৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়৷
বুধবার আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, রিটকারী তার চাকরি ফেরত চেয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন করেছিলেন৷ দুই মাসের মধ্যে সেটি নিষ্পত্তি করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷