আমরা বাহাত্তরের মূল সংবিধান ফিরে পেতে চাই : আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ৫ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:২৭ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তাঁরা বাহাত্তরের মূল সংবিধান ফিরে পেতে চান। কখন, কীভাবে কোন বাস্তবতার নিরিখে এটি করা হবে, সেটি দল ও সরকার নির্ধারণ করবে।
আজ শনিবার (০৫ নভেম্বর) জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আমরা ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের অনেক কিছুই ফিরিয়ে পেয়েছি। ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে আর কিছুটা ফিরিয়ে পাওয়ার চেষ্টা করেছি। সেখানে কিছুটা বাধাবিপত্তি এসেছে এবং এটি এখন বিচারাধীন বিষয়। আমরা অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। তার কারণ, আমরা বাহাত্তরের মূল সংবিধান ফিরে পেতে চাই।’
সংবিধানের ৯৬ (২) অনুচ্ছেদ বা ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় কার্যকর না হওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে একটি রিভিউ পিটিশন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন। তিনি আশা করছেন, এই রিভিউ পিটিশনের শুনানি কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট যেভাবে রায় দেবেন, ঠিক সেভাবেই কাজ করা হবে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বলবৎ রাখার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার যাতে কায়েম করা যায়, সে জন্যই আমরা সরকার গঠন করেছি এবং সরকারে কাজ করছি। এখন যদি নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য কোনো আইন করার ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিই, তাহলে তো আমি যে ম্যান্ডেট নিয়ে পাস করে এসেছি, তার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া হবে। সেই ক্ষমতা কিন্তু জনগণ আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেয়নি। আমি যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হতাম, তাহলে আমার ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারতাম। সুতরাং যেখানে আমি দলের প্রতীক নিয়ে, দলের ইশতেহার দিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে পাস করে এসেছি, সেখানে কিন্তু আমি দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারি না।’ তিনি বলেন, সংসদ সদস্যদেরও কারও না কারও কাছে দায়বদ্ধতা থাকা উচিত।
আনিসুল হক আরও বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচনের আগে কারাগারে পাঠানোর এখনো কোনো চিন্তাভাবনা সরকারের নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছেন, বাড়াবাড়ি করলে...। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাহী আদেশ যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায় বা বাড়ানো যায়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় উচ্চ আদালতে তারেক রহমানের সাজা বাড়ানোর জন্য আপিল করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়।’
বিলিয়ার চেয়ারপারসন এম আমির-উল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বিচারপতি (অব.) এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান বক্তব্য দেন। এ সময় লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমিরসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।