সংকট মোকাবিলায় সাশ্রয় করছি : নসরুল হামিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৭ পিএম, ৩ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:১২ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
সংকট যদি আরও বেড়ে যায় সে চিন্তা থেকেই আমরা সাশ্রয় করছি। আগামী বছর কী করে পরিস্থিতি সামাল দেবো সে পরিকল্পনা এখন থেকে করা হচ্ছে। খারাপকে খারাপভাবে ফেস করতে হবে। চেষ্টা করছি এরচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি যাতে না হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে গ্যাস পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা এখনও ভালো আছি। আমরা কিছু সাশ্রয় করছি। আমরা বিদ্যুতে সাশ্রয় করছি, গ্যাসে সাশ্রয় করছি। সবারই কষ্ট হচ্ছে। এটা আমরা অস্বীকার করছি না। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সব দেশের অবস্থাই এক। সবাই অনিশ্চয়তায়, ভবিষ্যতে কী হবে। কেউ কী জানতো এই পরিস্থিতি হবে।
তিনি বলেন, শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পরও আমাদের পরিস্থিতি ভালো ছিল। কিন্তু জ্বালানি সংকটে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছি না। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আনতে অতিরিক্ত ব্যয়ের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন যদি এক জাহাজ গ্যাস আনা হয় তাহলে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। কিন্তু ওই গ্যাস বিক্রি করে ৫৮ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। তবে একই সঙ্গে পরিস্থিতি আর খারাপ না হওয়ার বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিকল্প জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসতে শুরু করেছে। কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে আগামী গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। কিন্তু কয়লার দামও বেড়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি এর চাইতে যেন খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।
তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে ৪৫টি কূপ খনন করা হবে। এতে ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। কিন্তু আমাদের পুরাতন ক্ষেত্রের উৎপাদন প্রতি বছর ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে কমছে। আমরা যদি ধরে নিই আগামী কয়েক বছরে ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস কমে যাবে, তারপরও ২০ মিলিয়নের মতো গ্যাস থেকে যাবে। তবে আমরা আশাবাদী আরও দুটি স্ট্রাকচারে পিএসসির অধীনে কাজ চলছে। শেভরনকে নতুন করে ৬৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দেয়া হয়েছে। সেখানে তারা কাজ করছে। এছাড়া আরও কিছু এলাকায় গ্যাস পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের চাহিদা বেড়ে যাবে অনেক। যেভাবে আমাদের শিল্প-কারখানায় চাহিদা বাড়ছে, ইকোনমিক জোন আসতেছে সামনে, আমাদের চাহিদা হয়ে যাবে অনেক। এই অবস্থায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিজেদের গ্যাস ব্যবহার করে চাহিদা পূরণ করার। আমরা যদি কস্ট ইফেকটিভ প্রাইস পাই তাহলে এলএনজি আমদানির মাধ্যমে বাকিটা করতে পারবো।