আমরা যা চেয়েছি সবই দিয়েছে ভারত : ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৩ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০৭ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বর্তমান সংকট মোকাবিলা এবং জনগণকে বাঁচাতে সরকার যা যা চেয়েছে ভারত তা-ই দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে এ কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যা যা চেয়েছি ভারত সব দিয়েছে। শেখ হাসিনা তিস্তার কথা বলতে ভুলে যাননি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কিছুটা আপত্তি আছে। আশা করি, সেটিও হয়ে যাবে। বিএনপির তো না পাওয়ার হতাশা। আমাদের না পাওয়ার হতাশা নেই। আপনারা ভারতের সঙ্গে দেয়াল তুলেছেন, আমরা সেই দেয়াল ভেঙে দিয়েছি। কোন দেশের ছিটমহল এতো শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। আপনারা তো ভুলেই যান আসল কথা বলতে। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্ব থাকলে যে সমস্যা সেগুলো সমাধান হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সবসময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন-এমন কোনো কথা নেই।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আগের জাতীয় নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের দাবি করেছিল, আগামী নির্বাচনেও তাই চায়। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত। নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তাদের বিষয়।
রাজনীতিবিদদের অবসরের বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেয়া উচিত কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, রাজনীতিবিদদের কোনো বয়সসীমা থাকা উচিত না। একটা মানুষ সারাজীবন রাজনীতি করে শেষ বয়সে এসে করতে না পারলে মরার আগে মরে যাবেন।
সংলাপে নিজের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমার জীবন-সংগ্রাম কঠিন ছিল, স্রোতের বিপরীত চলেছি। আমি অবশ্যই খুব ভাগ্যবান। অনেকে রাজনীতি করে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন কিন্তু মন্ত্রী হতে পারেননি। কিন্ত আমি ১৬ বছর মন্ত্রিত্ব করছি। এটা অনেক বড় পাওয়া।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের মতো দলের দুবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। দলকে সাজানো হচ্ছে এবং সাংগঠনিক কাঠামো জোরদারও করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে মেগা প্রজেক্টগুলোর দায়িত্ব পালন করছি- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল, অনেকে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন কিন্তু যারা কাজ করেছেন তাদের উৎসাহ দিতে ঈদের দিনেও সেখানে গিয়েছি।
এ সময় তিনি বলেন, আমার হাতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে আরও ২৭টি ছোটবড় ও মাঝারি প্রকল্প। আগামী বছর ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষ হবে।
দেশের সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা বিষয়ে সমস্যা চিহ্নিত করে দুর্ঘটনা নিরসনে কাজ চলছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার জোর দিচ্ছে। দুর্ঘটনায় নতুন উপদ্রব হিসেবে এসেছে মোটরসাইকেল। সড়ক নিরাপত্তা এখন বড় দুর্ভাবনার বিষয়, দুর্ঘটনা কম হলেও মৃতের সংখ্যা বেশি এ নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।