হজে অনিয়ম : ২৬ এজেন্সিকে শোকজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৫ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চলতি বছর হজ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২৬টি এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে সরকার। গত ১৬ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ‘হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ অনুযায়ী এসব এজেন্সিকে জবাব দিতে বিভিন্ন মেয়াদে সময় দেয়া হয়েছে। গত ৮ জুলাই হজ অনুষ্ঠিত হয়। এ উদ্দেশ্যে ৫ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ১৬৫টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রী (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ)। হজ শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হয় গত ৮ আগস্ট। এবার ৩৪৯টি হজ এজেন্সি হজ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ বছর সরকারিভাবে চার হাজার ১১৫ জন ও বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে ৫৫ হাজার ৮৮৫ জন হজ পালন করেছেন। তবে হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত অনেক এজেন্সির বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে।
সেগুলো হলো- হজ পালনের জন্য নিবন্ধনের অর্থ নিয়েছে কিন্তু হজের নিবন্ধন করেনি। প্রতিশ্রুতি দিয়েও হজে পাঠায়নি। হজে পাঠাতে না পরলেও অর্থ ফেরত দিচ্ছে না, নিচ্ছে প্রতারণার আশ্রয়। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর, নিম্নমানের এবং পর্যাপ্ত খাবার না দেয়া, নিম্নমানের হোটেলে রাখা, পানির ব্যবস্থা না করা, এক রুমে গাদাগাদি করে ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে হজযাত্রীদের রাখার অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে হজযাত্রীদের লাগেজ ছাড়াই তাদের হোটেলে উঠানো, নির্ধারিত প্যাকেজের চেয়ে বেশি অর্থ আদায়, এক প্যাকেজের অর্থ নিয়ে অন্য (কম টাকার) প্যাকেজের সেবা দেয়া, মক্কা ও মদিনায় নির্ধারিত এলাকার থেকে দূরে হোটেলে রাখা, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম দিনের প্যাকেজ করা, হজযাত্রীদের ভিজিট ভিসা দেয়া, হজ গাইড না দেয়া, যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা না করা ইত্যাদি অভিযোগ উঠেছে। হজ কাউন্সিলর, সরকারের পরিদর্শক টিম ও ভুক্তভোগী হজযাত্রীরা এসব অভিযোগ জানিয়েছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, এজেন্সিগুলোর জবাব পর্যালোচনা ও শুনানির পর হজ ও ওমরাহ আইন অনুযায়ী অপরাধের ধরণ অনুযায়ী এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত, জরিমানা, সতর্ক করাসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি নির্ধারণ করা হবে।
যেসব এজেন্সিকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে : খান জাহানআলী হজ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, আল মদিনা ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল, আমদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, মাবরুরান হজ এজেন্সি, শানজারি ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, রিমাল ট্রাভেলস, বন্ধু এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, মদিনা স্টার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, আরব বাংলাদেশ ওভারসিজ অ্যান্ড হজ গ্রুপ, জাবেদ এয়ার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড, স্কাই ওয়াল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস, ইয়াহিয়া ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম, মেসার্স হলি এয়ার সার্ভিস, আল আকসা ট্রাভেলস, এন জেড ফাউন্ডেশন অ্যান্ড হজ মিশন, আল-নূর ট্রাভেলস, এম জি ইন্টারন্যাশনাল, আল হাসান ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, সুলতানা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, কক্সবাজার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, ইবনে বতুতা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, মালিবাগ ট্রাভেলস, সালাম-আবাদ ট্রাভেলস, গ্লাসি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, ধানসিঁড়ি এয়ার ট্রাভেলস লিমিটেড ও মুবাল্লিগ ট্রাভেলস। এরমধ্যে শানজারি ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, বন্ধু এয়ার ইন্টারন্যাশনালসহ কয়েকটি এজেন্সিকে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিকে একাধিক নোটিশ পাঠানো হয়েছে।