সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ২৭ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০২ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘ইনার হুইল ক্লাব’ আয়োজিত ‘পঞ্চম দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলন’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার যেহেতু বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পায়নি, সেহেতু বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয় কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি শুধু জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের উক্তিটিই করেছি। অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমি সবসময় বলে থাকি, তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কিছু বললে তা কেউ বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি আমাদের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। আমাদের কিছু প্রশ্ন আগেই দিয়েছিলেন। তার প্রশ্নের ৭৬ জন গুমসহ অন্যান্য বিষয় আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশন তাকে দেখিয়ে এবং কোনদিন কী হয়েছে বিস্তারিত বিষয় তার কাছে তুলে ধরেছি। এসব দেখে তিনি কোনো প্রশ্ন আমাদের করেননি।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘মিশেল ব্যাচেলেট সবকিছু বিশ্লেষণ করে মতামত দিয়েছেন। তিনি বিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। তিনি (মিশেল ব্যাচেলেট) বলেছেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে না, বরং খুব যত্ন সহকারে দেশ পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কথাই তিনি বারবার বলেছেন।’
সদ্য বাংলাদেশ সফরকারী জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতিসঙ্ঘের দৃষ্টিতে মানবাধিকার বা অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো উদ্বেগ প্রকাশিত হয়নি। তাহলে বিএনপি যে বারবার অভিযোগ করে আসছিল এবার তাদের দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হলো কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি তারা (বিএনপি) একটা অবস্থা সৃষ্টির জন্য বিভিন্নভাবে রটনা রটিয়ে যাচ্ছে। যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং সত্যতা দেখাতে পারেনি। ভিত্তি না থাকার কারণে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।