বেনজীরের যুক্তরাষ্ট্র যাওয়া নিয়ে কাজ চলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩১ পিএম, ১৬ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৯ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় পুলিশপ্রধানদের সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ‘কাজ চলছে’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে, চুক্তিও আছে। তার ওপরে ভিত্তি করেই বেনজীরের যাওয়া নিয়ে কাজ চলছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য সচিবালয়ে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথাগুলো বলেন।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে বেনজীর আহমেদসহ বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন রাজস্ব বিভাগ ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
এই অবস্থায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এ মাসের শেষে পুলিশপ্রধানদের সম্মেলনে বেনজীর আহমেদ যোগ দিতে পারবেন কি না, সে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এর আগে ৮ আগস্ট ঢাকা সফররত মার্কিন আন্তর্জাতিক সংস্থাবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসনের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছিলেন, ‘কোনো রকম অসুবিধা না হলে’ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় পুলিশপ্রধানদের সম্মেলনে বেনজীর আহমেদ যোগ দিতে পারবেন।
পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকে বেনজীর আহমেদের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রসঙ্গটি উঠেছে কি না, এ বিষয় সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউএনএর (জাতিসংঘ) মধ্যকার সম্পর্ক রয়েছে, এগ্রিমেন্ট (চুক্তি) রয়েছে। তার ওপরে ভিত্তি করে সে বিষয়ে কাজ চলছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে আলোচনা প্রসঙ্গে নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন থাকবে, বর্তমান সময়ের মতোই থাকবে কি না সে বিষয়ে জানতে চান পিটার হাস।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার হাসকে জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসন মূলত নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাজ করবেন এবং তারা নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু তাদের আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান এবং সে গুলি চালানোর পরে প্রতিটি ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তদন্ত হয়। সে তদন্তের মধ্য দিয়ে যাচাই করা হয় ঘটনাটি সঠিকতা। এ প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে এ তদন্ত রিপোর্ট কেন প্রকাশ করা হয় না। এর উত্তরে তিনি বলেছেন, যেগুলো জানানোর সেগুলো জানানো হয়।
বরগুনায় গতকাল সোমবার ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ এবং এরপর নেতা–কর্মীদের পুলিশের বেধড়ক পেটানোর ঘটনাকে ‘বাড়াবাড়ি’ বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানব পাচার প্রতিরোধে যথেষ্ট কাজ করেছে। তবে সেই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়েও তাঁরা আলোচনা করেছেন।