মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে বক্তব্য জমা দিতে সময় চেয়েছে ঢাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫২ পিএম, ১৮ জুলাই,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:০৯ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বাংলাদেশে সংঘটিত গুম-খুনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত ঘটনাগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে তথ্য দিয়ে সহায়তাকারী ব্যক্তি এবং মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আচরণ বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য বা অবস্থান জানতে চেয়েছে জাতিসংঘ। এ বিষয়ে জানানোর জন্য গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেও ঢাকার পক্ষ থেকে সংস্থাটির কাছে আরও এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে জাতিসংঘের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কোনো উত্তর পাঠায়নি ঢাকা। ঢাকার পক্ষ থেকে ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আরও এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে জাতিসংঘের কাছে। মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘ যে বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে, সেটা আমরা তাদের পাঠাব। আমরা সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত তথ্য দিতে বলেছি। তথ্য পেলেই আমরা জাতিসংঘের কাছে সাবমিট করব। ঈদের বন্ধসহ নানা কারণে সব উপাত্ত পেতে আমাদের কিছুটা সময় লাগার বিষয়ে জাতিসংঘকে অবহিত করা হয়েছে। গত ২৭ জুন নিউইয়র্কের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনকে লেখা অফিস অব দ্য ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর)-এর চিঠিতে বলা হয়, জাতিসংঘ মহাসচিবের রিপোর্টে ১ মে ২০২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত সময়কালে বিভিন্ন দেশে সংঘটিত মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট স্পর্শকাতর ঘটনাগুলো স্থান পাবে। ওই সময়ে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার সংবেদনশীল কিছু ঘটনা রয়েছে, সে সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ওই সব কেসের বিষয়ে আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বাংলাদেশের বক্তব্য পাওয়া জরুরি। অন্যথায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ মহাসচিব যে বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করতে যাচ্ছেন তাতে বাংলাদেশের ভাষ্য অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে না। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মহাসচিবের রিপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত তারিখের পর কারও কোনো বক্তব্য দেয়ার অবকাশ নেই। বরং তা দিলেও গৃহীত হবে না।