৫৭ ধারার মামলায় দীপ্ত টিভির মালিকের দুপুরে জেলের আদেশ, বিকেলে জামিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ১৮ জুলাই,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১০ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
দীপ্ত টিভিতে সংবাদ পরিবশেন করায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার মামলায় চ্যানেলটির মালিক ও কাজী গ্রুপের এমডি কাজী জাহেদুল হাসানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর ঘন্টা তিনেক পর এমডিকে জামিন দিয়েছেন চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনাল। তবে কাজী গ্রুপের অপর তিনজনকে আজ কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবিরের আদালত দ্বিতীয় দফা শুনানি শেষে এ জামিন আদেশ দেন।যদিও এরআগে দুপুর ১টার দিকে একই আদালত জাহিদ হাসানসহ দীপ্ত টিভির চার কর্মকর্তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও তার ছেলে মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দীপ্ত টেলিভিশনে সংবাদ পরিবেশন করায় ছয় বছর আগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
ওই মামলায় চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার শর্তে গত ৫ জুন উচ্চ আদালতে তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়েছিলেন। মেয়াদ শেষে আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে সোমবার দুপুরে চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এরমধ্যে এই আদেশের ঘণ্টা তিনেক পর বিকেল ৫টার দিকে একই আদালতে শারিরীক অসুস্থতার কারণে দেখিয়ে জামিন চান দীপ্ত টিভির মালিক ও কাজী গ্রুপের এমডি কাজী জাহেদুল হাসান। চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়ে তার জামিন মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া তিন আসামির জামিনের বিষয়ে আগামীকাল দিন ঠিক করে শুনানি স্থগিত করেন। যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেনÍ পরিচালক কাজী জাহিন হাসান, চিফ অপারেটিং অফিসার কাজী উরফি আহমেদ ও আনিসুর রহমান।
চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দীন বলেন, উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন শেষে আদালত চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে বিকেল ৫টার দিকে আদালত শুধুমাত্র কাজী গ্রুপের এমডিকে শারিরীক অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জামিন দেন। অন্য তিন আসামির বিষয়ে আগামীকাল শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৬ ও ২২ মার্চ দীপ্ত টিভিতে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও তার ছেলে মুজিবর রহমানকে জড়িয়ে ‘মিথ্যা সংবাদ’ পরিবেশন করা হয়; এতে মন্ত্রী ও তার ছেলের সম্মানহানি হওয়ার অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় চকবাজার থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী সানোয়ারা গ্রুপের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান, পরিচালক কাজী জাহিন হাসান, চিফ অপারেটিং অফিসার কাজী উরফি আহমেদ ও চট্টগ্রাম অফিসের প্রতিবেদক রুনা আনসারীসহ সাত জনকে আসামি করা হয়।