৩ বিচারককে দন্ড দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৭ পিএম, ১৬ জুলাই,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪২ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
অসদাচরণের অভিযোগে তিন বিচারককে ‘তিরস্কার’ দন্ড দেয়া হয়েছে। তিন বিচারক হলেন- রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এম আলী আহমেদ, যশোরের সাবেক জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বর্তমানে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার (যুগ্ম জেলা জজ) বর্তমানে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান। সম্প্রতি এ তিন বিচারককে দন্ড দেয়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
গত ৬ জুলাই জারি করা প্রজ্ঞাপনে মাহমুদুল হাসান সম্পর্কে বলা হয়, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭-এর বিধি ২ (চ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ’-এর দায়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। ব্যক্তিগত শুনানি শেষে তাকে এ অভিযোগের দায়ে ‘তিরস্কার’ দন্ড আরোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পরামর্শ চাওয়া হলে সুপ্রিম কোর্ট সরকারের সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করেন। এ কারণে মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় আনীত অভিযোগের দায়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা)
বিধিমালা, ২০১৭-এর বিধি ২ (চ) মোতাবেক ‘তিরস্কার’ দন্ড আরোপ করা হয়। পরদিন ৭ জুলাই পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা। এম আলী আহমেদের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭-এর বিধি ২ (চ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ’-এর দায়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। ব্যক্তিগত শুনানি শেষে তাকে এ অভিযোগের দায়ে ‘তিরস্কার’ দন্ড আরোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পরামর্শ চাওয়া হলে সুপ্রিম কোর্ট সরকারের সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করেন।
এ কারণে এম আলী আহমেদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় আনীত অভিযোগের দায়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭-এর বিধি ২ (চ) মোতাবেক ‘তিরস্কার’ দন্ড আরোপ করা হয়। ওয়াহিদুজ্জামানের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮-এর বিধি ৩ (বি) ও ৩ (ডি) অনুযায়ী যথাক্রমে ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে বিভাগীয় মোকদ্দমা রুজু করা হয়। কারণ দর্শানোর পরিপ্রেক্ষিতে তার লিখিত জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে বক্তব্য, বিভাগীয় মোকদ্দমার তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের আলোকে ওয়াহিদুজ্জামানকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫-এর বিধি ৪(২) (এ) অনুযায়ী ‘তিরস্কার’ দন্ড দেয়া হলো।