মুক্তিযোদ্ধার সহযোগীদের তালিকা করার কথা ভাবছে সরকার-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৯ এএম, ১৯ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫৩ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দেয়া ব্যক্তিদের তালিকা করার কথা ভাবছে সরকার। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধার সহযোগীদের তালিকা করা যায় কিনা সেই বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আজ সোমবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘সেবা সপ্তাহ-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা জানান। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়কে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আগামী ২৬ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে বহু লোক (মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেতে আবেদন করা) যাচাই-বাছাইয়ে টেকেনি, হয়তো তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিলেন। সংজ্ঞা অনুযায়ী তারা প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত নন। আমাদের একটা পরিকল্পনা আছেÑ এগুলো (মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা) শেষ হলে আমরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা যায় কিনা সেই বিষয়টি ভেবে দেখব।’ তিনি বলেন, একই সঙ্গে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছেন, এর মধ্যে অনেকে আছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বা অন্যান্যভাবে সেসব তালিকা পূর্ণতা দেয়া যায় কিনা। একইভাবে আমরা সংসদে রাজাকারের তালিকা করার জন্য আইন করার চেষ্টা করছি। সব রকমের মানুষের দাবি, মানুষের জিজ্ঞাসা ও প্রশ্ন আছে বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা চূড়ান্ত করার পর আমরা সেসব ব্যাপারে আত্মনিয়োগ করব।
‘সেই ব্যাপারেও কাজ চলছে, কিন্তু আইনানুগভাবে ও নীতিমালা তৈরি করে সেটার পূর্ণাঙ্গতা দেয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সকল সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেয়া হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয়ের সেবা-সংক্রান্ত সকল তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত হতে এ মন্ত্রণালয়ের সেবার জন্য আবেদন করা যাবে।’ তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা গভর্নমেন্ট-টু-পারসন (জি-টু-পি) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে সরাসরি বীর মুক্তিযোদ্ধার অ্যাকাউন্টে দেয়া শুরু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে সকল আনুষঙ্গিক সারচার্জ সরকার বহন করবে। এ জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ডাটাবেজ সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৪ হাজার বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে বলেও জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।