পদ্মা সেতু উদ্বোধনে খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিতে আইনি বাধা নেই : আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৬ পিএম, ৫ জুন,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১৮ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় দাওয়াত দিতে আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার ব্যাপারে দুটি শর্ত আছে, তা হলো তিনি বাংলাদেশের ভেতরে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। আর বিদেশে যেতে পারবেন না। সে কারণে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় তাঁকে দাওয়াত দিতে আইনি কোনো বাধা নেই।
আজ রবিবার (৫ জুন) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত ১৪৬তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বরাত দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় দাওয়াত দেবে। এ বিষয়ে আইনি কোনো বাধা নেই বলে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আজ সকালে জানিয়েছেন।
আনিসুল হক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বিদ্বেষের বশীভূত হয়ে কারও প্রতি কোনো ‘অ্যাকশন’ নেন না। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্রদ্বয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো দুদকের তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। তাঁরা যদি এটা বলেন যে আওয়ামী লীগ সরকার এই মামলাগুলো করেছে, তাহলে তাঁরা শুধু শুধু—জনগণ যেটা বিশ্বাস করে তাঁদের দুর্নীতির ব্যাপারে—সেটাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দোষারোপ করছেন। তাঁদের দোষারোপ করাটা ভিত্তিহীন।
আনিসুল হক বলেন, দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। ২০০৪ সালের আইনের পরে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুদককে চেয়ার-টেবিলও দেয়নি বিএনপি সরকার। ২০০৭ সালে এটিকে প্রকৃত কার্যকর করা হয়েছে।
বিচার বিভাগের বাজেট বাড়ানো প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, যুক্তিসংগত যেকোনো প্রয়োজনে অর্থ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় কার্পণ্য করবে না। জাতীয় বাজেটে আইন মন্ত্রণালয়কে যে টাকা দেওয়া হয়, তা আগে কোনো সরকার দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই প্রথম বিচারকদের প্রশিক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্পের একটি অংশ বাস্তবায়নের জন্য ২১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এটা আইন মন্ত্রণালয়ের নামে বরাদ্দ করা মূল বাজেটের বাইরে।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আবার বলেন, বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করার জন্য এই আইন করা হয়েছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, কোর্স পরিচালক মীর মো. এমতাজুল হক বক্তৃতা করেন।